সুনির্দিষ্ট চুক্তি ছাড়া পরমাণু স্থাপনায় আইএইএকে প্রবেশের অনুমতি নয়: ইরান
সুনির্দিষ্ট চুক্তি ছাড়া ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলার শিকার পরমাণু স্থাপনাগুলোতে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাকে (আইএইএ) প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে ইরান। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) স্পষ্টভাবে এই তথ্য জানিয়ে দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরাঘচি বলেন, যেসব স্থাপনায় হামলা হয়েছে, সেগুলোর আলাদা বাস্তবতা আছে। আমাদের, আইএইএ ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে সিদ্ধান্ত ও উপসংহার না আসা পর্যন্ত সহযোগিতা সম্ভব নয়। তবে কী ধরনের চুক্তি প্রয়োজন, তা তিনি বিস্তারিত বলেননি। গত জুনের মাঝামাঝি ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন এক বোমা হামলা চালায়, যা ১২ দিনের যুদ্ধে রূপ নেয়। যুক্তরাষ্ট্রও স্বল্প সময়ের জন্য এতে যোগ দিয়ে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায়। এরপরই তেহরান আইএইএর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করে এবং সংস্থার পরিদর্শকদের ওই বোমাবিদ্ধ স্থাপনাগুলোতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। তেহরানের অভিযোগ, আইএইএ পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে ও ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। আরাঘচি বলেন, তারা এসে হামলা করে চলে গেলো। আর এখন আইএইএ এসে তাদের জন্য
সুনির্দিষ্ট চুক্তি ছাড়া ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলার শিকার পরমাণু স্থাপনাগুলোতে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাকে (আইএইএ) প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে ইরান। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) স্পষ্টভাবে এই তথ্য জানিয়ে দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।
টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরাঘচি বলেন, যেসব স্থাপনায় হামলা হয়েছে, সেগুলোর আলাদা বাস্তবতা আছে। আমাদের, আইএইএ ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে সিদ্ধান্ত ও উপসংহার না আসা পর্যন্ত সহযোগিতা সম্ভব নয়। তবে কী ধরনের চুক্তি প্রয়োজন, তা তিনি বিস্তারিত বলেননি।
গত জুনের মাঝামাঝি ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন এক বোমা হামলা চালায়, যা ১২ দিনের যুদ্ধে রূপ নেয়। যুক্তরাষ্ট্রও স্বল্প সময়ের জন্য এতে যোগ দিয়ে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায়। এরপরই তেহরান আইএইএর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করে এবং সংস্থার পরিদর্শকদের ওই বোমাবিদ্ধ স্থাপনাগুলোতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে।
তেহরানের অভিযোগ, আইএইএ পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে ও ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরাঘচি বলেন, তারা এসে হামলা করে চলে গেলো। আর এখন আইএইএ এসে তাদের জন্য প্রতিবেদন তৈরি করবে যে কোথায় হামলা হয়েছে, কী হয়েছে, কত ক্ষতি হয়েছে- এটা সম্ভব নয়। এটা স্পষ্টতই অযৌক্তিক।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ইরান ও আইএইএ সহযোগিতার নতুন একটি কাঠামোয় একমত হয়। তবে এর কয়েক সপ্তাহ পর যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির অধীনে স্থগিত থাকা জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করলে তেহরান সেই কাঠামোকে অকার্যকর ঘোষণা করে।
যুদ্ধের কারণে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান উচ্চপর্যায়ের পরমাণু আলোচনা থেমে যায়। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির অধিকার নিয়ে দুই পক্ষের অবস্থান ছিল একেবারে বিপরীত। ইরান বলছে, ইউরেনিয়ামের সমৃদ্ধি তাদের ‘অবিচ্ছেদ্য অধিকার’।
তবে যুদ্ধের পর তেহরান বারবার জানিয়েছে, তারা আলোচনায় ফিরতে প্রস্তুত, তবে শর্ত একটাই- আলোচনা হতে হবে সমতার ভিত্তিতে।
সূত্র: এএফপি
এসএএইচ
What's Your Reaction?