সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে সব বাহিনী প্রস্তুত : সিইসি
সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকালে তিনি ঢাকার পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরে ঢাকা ব্যাটালিয়ন (৫ বিজিবি)-এর প্রশিক্ষণ মাঠে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ও মহড়া সরেজমিন পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান। সিইসি বলেন, আজ এখানে খুব সুন্দর একটি মহড়া দেখলাম। এটি পুরোপুরি আমাদের নির্বাচন সংস্কৃতি বিবেচনায় করে করা হয়েছে। সাধারণত নির্বাচনে যেসব ধরনের ঘটনা ঘটে, বা যেভাবে নির্বাচন পরিচালিত হয়। সব কনসিভেবল ডাইমেনশন মাথায় রেখে বিজিবি প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি জানান, নির্বাচনী ডিউটি নিয়মিত আসে না। ৪ থেকে ৫ বছর পরপর আসে বলে বাহিনীগুলোকে বিশেষ ট্রেনিং নিতে হয়। বিজিবি নিয়মিত কাজ সীমান্ত এলাকায়। আমরা বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পুলিশ ১৩০টি সেন্টারে নির্বাচনভিত্তিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। আনসার-ভিডিপির মহড়া দেখেছি। তারাও প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। বিজিবির এ অনুশীলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রা
সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকালে তিনি ঢাকার পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরে ঢাকা ব্যাটালিয়ন (৫ বিজিবি)-এর প্রশিক্ষণ মাঠে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ও মহড়া সরেজমিন পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সিইসি বলেন, আজ এখানে খুব সুন্দর একটি মহড়া দেখলাম। এটি পুরোপুরি আমাদের নির্বাচন সংস্কৃতি বিবেচনায় করে করা হয়েছে। সাধারণত নির্বাচনে যেসব ধরনের ঘটনা ঘটে, বা যেভাবে নির্বাচন পরিচালিত হয়। সব কনসিভেবল ডাইমেনশন মাথায় রেখে বিজিবি প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
তিনি জানান, নির্বাচনী ডিউটি নিয়মিত আসে না। ৪ থেকে ৫ বছর পরপর আসে বলে বাহিনীগুলোকে বিশেষ ট্রেনিং নিতে হয়। বিজিবি নিয়মিত কাজ সীমান্ত এলাকায়। আমরা বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পুলিশ ১৩০টি সেন্টারে নির্বাচনভিত্তিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। আনসার-ভিডিপির মহড়া দেখেছি। তারাও প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। বিজিবির এ অনুশীলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যাতে তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে। সে জন্য সদস্যদের তৈরি করছে।
সিইসি বলেন, প্রতিটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সদস্যদের নিয়ে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা আশা করি এই প্রশিক্ষণ নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ প্রভাব ফেলবে। আমি আশা করি সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিক এবং ১৩ কোটি ভোটার মিলে আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করব।
দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমি বলব না যে পরিস্থিতি পারফেক্ট লেভেলে চলে গেছে। তবে ৫ আগস্ট ২০২৪-এর পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করলে এখন অনেক উন্নতি হয়েছে। আপনারা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছেন, রাস্তায় চলাচল করতে পারছেন। ভোটের তারিখ আসতে আসতে এটার আরও উন্নতি হবে। আমরা ৩০ তারিখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আবারও বৈঠক করব এবং সেদিনই ডেপ্লয়মেন্ট স্ট্র্যাটেজি চূড়ান্ত করা হবে। পুলিশ চাইলে একজন দুজন মোতায়েন করা যায়। কিন্তু এভাবে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা যায় না। সেনাবাহিনী কন্টিনজেন্ট আকারে কাজ করে। তাই তাদের মোতায়েনের সিদ্ধান্ত যথাযথ বিবেচনার পর নেওয়া হবে।
একটি দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণার প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, যারা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে, তাদের ব্যাপারে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংবাদিক, ভোটার, দেশবাসী—সবাই মিলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি প্রতিহত করতে হবে।
উপদেষ্টাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নিয়ে তিনি বলেন, এটা সরকারের নীতি-নির্ধারণী বিষয়। নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে
ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ঝুঁকি অ্যাসেসমেন্ট করেছি। রেড, ইয়েলো ও গ্রিন—এই তিন জোনে ভাগ করে অনুযায়ী বাহিনী মোতায়ন করা হবে।
এ দিকে বিজিবি জানিয়েছে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে বিজিবির ১২১০ প্লাটুন সদস্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে। সন্দীপ, হাতিয়া ও কুতুবদিয়া ছাড়া সব উপজেলায় বিজিবি নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে। সীমান্তবর্তী ১১৫টি উপজেলার মধ্যে ৬০টি উপজেলায় বিজিবি সদস্য এককভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে।
মহড়া অনুষ্ঠানে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
What's Your Reaction?