সেই কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত ইইউর

ইউরোপীয় কমিশন জর্জিয়ার কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ সুবিধা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। মাসের শেষ দিকে নতুন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নিয়ম কার্যকর হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে। একই সঙ্গে কমিশন ইঙ্গিত দিয়েছে, গণতান্ত্রিক অধিকার ও স্বাধীনতা জোরদারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে এই নিষেধাজ্ঞা জর্জিয়ার সাধারণ নাগরিকদের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হতে পারে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ইউরোপীয় কমিশন তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে সেই সব অ-ইইউ দেশের তালিকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যাদের নাগরিকরা প্রতি ১৮০ দিনে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত ভিসা ছাড়া ইইউভুক্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে পারেন। এই সুবিধা শুধু ইইউ সদস্য দেশগুলোতেই নয়, বরং আইসল্যান্ড, লিশটেনস্টাইন, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডের মতো সহযোগী দেশগুলোতেও প্রযোজ্য। খবর রেডিও ফ্রি ইউরোপের। ২০১৭ সাল থেকে জর্জিয়ার নাগরিকরা এই ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ সুবিধা পেয়ে আসছেন। তবে নতুন বছরের শুরুতে অনুমোদিত নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে শুধু অভিবাসনসংক্রান্ত অনিয়মের কারণে এ সুবিধা বাতিল হবে না, বরং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণেও কোনো দেশের

সেই কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত ইইউর

ইউরোপীয় কমিশন জর্জিয়ার কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ সুবিধা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। মাসের শেষ দিকে নতুন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নিয়ম কার্যকর হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে। একই সঙ্গে কমিশন ইঙ্গিত দিয়েছে, গণতান্ত্রিক অধিকার ও স্বাধীনতা জোরদারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে এই নিষেধাজ্ঞা জর্জিয়ার সাধারণ নাগরিকদের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হতে পারে।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ইউরোপীয় কমিশন তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে সেই সব অ-ইইউ দেশের তালিকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যাদের নাগরিকরা প্রতি ১৮০ দিনে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত ভিসা ছাড়া ইইউভুক্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে পারেন। এই সুবিধা শুধু ইইউ সদস্য দেশগুলোতেই নয়, বরং আইসল্যান্ড, লিশটেনস্টাইন, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডের মতো সহযোগী দেশগুলোতেও প্রযোজ্য। খবর রেডিও ফ্রি ইউরোপের।

২০১৭ সাল থেকে জর্জিয়ার নাগরিকরা এই ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ সুবিধা পেয়ে আসছেন। তবে নতুন বছরের শুরুতে অনুমোদিত নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে শুধু অভিবাসনসংক্রান্ত অনিয়মের কারণে এ সুবিধা বাতিল হবে না, বরং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণেও কোনো দেশের ভিসা-মুক্ত সুবিধা আংশিক বা পুরোপুরি স্থগিত করতে পারবে ইউরোপীয় কমিশন।

নতুন বিধানে আরও বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত নিতে কমিশনের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সর্বসম্মত অনুমোদন বাধ্যতামূলক নয়, যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করা হতে পারে।

ইউরোপীয় কমিশনের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় জর্জিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার শালভা পাপুয়াশভিলি ইইউর এই পদক্ষেপকে “ব্ল্যাকমেইল” বলে অভিহিত করেছেন।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইইউর অধিকাংশ সদস্য রাষ্ট্র জর্জিয়ার নীতিনির্ধারক ও সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের জন্য অন্তত ভিসা-মুক্ত সুবিধা স্থগিতের পক্ষে, তবে সাধারণ নাগরিকদের আপাতত এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখার বিষয়ে তারা আগ্রহী।

তবে কমিশন সতর্ক করে বলেছে, জর্জিয়ান কর্তৃপক্ষ যদি উত্থাপিত সমস্যাগুলোর সমাধান না করে, তাহলে দ্বিতীয় ধাপে এই স্থগিতাদেশ পুরো জনগোষ্ঠীর ওপরও প্রযোজ্য হতে পারে। এমনকি চূড়ান্ত পর্যায়ে জর্জিয়া সম্পূর্ণভাবে ভিসা-মুক্ত মর্যাদা হারিয়ে ইইউর ভিসা-প্রয়োজনীয় দেশের তালিকায় চলে যেতে পারে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow