প্রথম আলো-ডেইলি স্টার অফিসে আগুন-ভাঙচুর, ভেতরে আটকা অনেকে

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি পত্রিকা ডেইলি স্টারের অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। অফিসের ভেতর ও ছাদে আটকা পড়েছেন কয়েকজন সাংবাদিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা কাজ করছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রথম আলোর কার্যালয়ে ও পরে ডেইলি স্টার অফিসে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে একদল লোক শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে কারওয়ান বাজারের দিকে অগ্রসর হয়। মিছিলটি প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে পৌঁছে ঘেরাও ও বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রথম আলো কার্যালয়ে প্রবেশ করে ভাঙচুর শুরু করে। কার্যালয়ের বেশিরভাগ জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়। ভেতরে প্রবেশ করে টেবিল-চেয়ার ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বাইরে রাস্তায় বের করে নিয়ে আসে এবং সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাত সাড়ে ১২টার পর ডেইলি স্টার অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়। ডেইলি স্টার ভবনের সামনে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুদ্ধরা। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক আহমেদ দীপ্ত সামা

প্রথম আলো-ডেইলি স্টার অফিসে আগুন-ভাঙচুর, ভেতরে আটকা অনেকে

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি পত্রিকা ডেইলি স্টারের অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। অফিসের ভেতর ও ছাদে আটকা পড়েছেন কয়েকজন সাংবাদিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা কাজ করছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রথম আলোর কার্যালয়ে ও পরে ডেইলি স্টার অফিসে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে একদল লোক শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে কারওয়ান বাজারের দিকে অগ্রসর হয়। মিছিলটি প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে পৌঁছে ঘেরাও ও বিক্ষোভ শুরু করে।

একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রথম আলো কার্যালয়ে প্রবেশ করে ভাঙচুর শুরু করে। কার্যালয়ের বেশিরভাগ জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়। ভেতরে প্রবেশ করে টেবিল-চেয়ার ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বাইরে রাস্তায় বের করে নিয়ে আসে এবং সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

রাত সাড়ে ১২টার পর ডেইলি স্টার অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়। ডেইলি স্টার ভবনের সামনে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুদ্ধরা। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক আহমেদ দীপ্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘এমন লেট নাইট ডিউটি যেন কারও জীবনে না আসুক। ছাদে আটকা পড়ছি, মাফ কইরা দিয়েন। ভবনে আগুন দিছে, দেখা নাও হতে পারে।’

ডেইলি স্টারের আরেকজন সাংবাদিক জানান, ভেতরে এখনো অনেক সংবাদকর্মী ও কর্মকর্তা আটকে আছেন।

টিটি/এএসএ

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow