হাসিনার যেদিন ফাঁসি হবে, সেদিন কলিজা ঠান্ডা হবে : শহীদ সজলের মা

‘আমার জীবন্ত বুকের ধনকে যেভাবে মেরে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ঠিক একইভাবে হাসিনার মৃত্যু হলে সবচেয়ে বেশি শান্তি লাগত’ বলে জানিয়েছেন জুলাই শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ের খবর শোনার পর একথা বলেন তিনি। সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শাহিনা বেগম বলেন, ‘শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর আমার কলিজা ঠান্ডা হবে। আমার জীবন্ত বুকের ধনকে যেভাবে মেরে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ঠিক একইভাবে হাসিনার মৃত্যু হলে সবচেয়ে বেশি শান্তি লাগত।’ তিনি বলেন, ‘এ রায় অবশ্যই কার্যকর করতে হবে। আমরা ন্যায় চেয়েছি। এই রায় যেন দ্রুত কার্যকর করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হয়।’ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান সজল। মৃত্যুর পর তার মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়। ঘটনার দুদিন পর পোড়া দেহের পাশে পড়ে থাকা সিটি ইউনিভার্সিটির পরিচয়পত্র দেখে পরিবারে

হাসিনার যেদিন ফাঁসি হবে, সেদিন কলিজা ঠান্ডা হবে : শহীদ সজলের মা

‘আমার জীবন্ত বুকের ধনকে যেভাবে মেরে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ঠিক একইভাবে হাসিনার মৃত্যু হলে সবচেয়ে বেশি শান্তি লাগত’ বলে জানিয়েছেন জুলাই শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ের খবর শোনার পর একথা বলেন তিনি।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শাহিনা বেগম বলেন, ‘শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর আমার কলিজা ঠান্ডা হবে। আমার জীবন্ত বুকের ধনকে যেভাবে মেরে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ঠিক একইভাবে হাসিনার মৃত্যু হলে সবচেয়ে বেশি শান্তি লাগত।’

তিনি বলেন, ‘এ রায় অবশ্যই কার্যকর করতে হবে। আমরা ন্যায় চেয়েছি। এই রায় যেন দ্রুত কার্যকর করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হয়।’

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান সজল। মৃত্যুর পর তার মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়।

ঘটনার দুদিন পর পোড়া দেহের পাশে পড়ে থাকা সিটি ইউনিভার্সিটির পরিচয়পত্র দেখে পরিবারের সদস্যরা তার মরদেহ শনাক্ত করেন। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং ৭ আগস্ট শ্যামপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow