২০২৬ বিশ্বকাপে কবে মুখোমুখি হতে পারে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল?

বিশ্বকাপ এলেই ফুটবলবিশ্বে এক প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসে—আর্জেন্টিনা–ব্রাজিলের সুপার ক্লাসিকো কি এবার দেখা যাবে? ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র শেষে সেই উত্তেজনার আগুনে নতুন করে ঘি পড়েছে। তবে এবারও সবকিছু নির্ভর করছে গ্রুপ পর্বের ফলাফলের ওপর।   ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ড্র অনুযায়ী, আর্জেন্টিনা পড়েছে গ্রুপ ‘J’-তে, আর ব্রাজিল জায়গা পেয়েছে গ্রুপ ‘C’-তে। ফলে গ্রুপ পর্বে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর দেখা হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই। তবে নকআউট পর্বে হিসাবটা বেশ জটিল—এবং রোমাঞ্চকর।   যদি আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল দু’দলই নিজেদের গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়, কিংবা দু’দলই রানার্সআপ হিসেবে শেষ করে, তাহলে তাদের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে সেমিফাইনালে। কিন্তু যদি একটি দল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় আর অন্যটি রানার্সআপ, সেক্ষেত্রে ঐতিহাসিক এই দ্বৈরথ হতে পারে সরাসরি বিশ্বকাপ ফাইনালে।   আর একটি সম্ভাবনা আরও আছে—যদি তারা সেরা তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলগুলোর কোটায় নকআউটে ওঠে। সেক্ষেত্রে সমীকরণ এতটাই জটিল হয়ে যাবে যে আগে থেকে নির্দিষ্ট করে বলা প্রায় অসম্ভব, কোন রাউন্ডে দেখা হতে পারে দুই জায়ান্টের।   ড্রয়ের পর আর্জেন্টিনার ভাগ্য তুলনামূলকভ

২০২৬ বিশ্বকাপে কবে মুখোমুখি হতে পারে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল?
বিশ্বকাপ এলেই ফুটবলবিশ্বে এক প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসে—আর্জেন্টিনা–ব্রাজিলের সুপার ক্লাসিকো কি এবার দেখা যাবে? ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র শেষে সেই উত্তেজনার আগুনে নতুন করে ঘি পড়েছে। তবে এবারও সবকিছু নির্ভর করছে গ্রুপ পর্বের ফলাফলের ওপর।   ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ড্র অনুযায়ী, আর্জেন্টিনা পড়েছে গ্রুপ ‘J’-তে, আর ব্রাজিল জায়গা পেয়েছে গ্রুপ ‘C’-তে। ফলে গ্রুপ পর্বে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর দেখা হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই। তবে নকআউট পর্বে হিসাবটা বেশ জটিল—এবং রোমাঞ্চকর।   যদি আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল দু’দলই নিজেদের গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়, কিংবা দু’দলই রানার্সআপ হিসেবে শেষ করে, তাহলে তাদের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে সেমিফাইনালে। কিন্তু যদি একটি দল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় আর অন্যটি রানার্সআপ, সেক্ষেত্রে ঐতিহাসিক এই দ্বৈরথ হতে পারে সরাসরি বিশ্বকাপ ফাইনালে।   আর একটি সম্ভাবনা আরও আছে—যদি তারা সেরা তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলগুলোর কোটায় নকআউটে ওঠে। সেক্ষেত্রে সমীকরণ এতটাই জটিল হয়ে যাবে যে আগে থেকে নির্দিষ্ট করে বলা প্রায় অসম্ভব, কোন রাউন্ডে দেখা হতে পারে দুই জায়ান্টের।   ড্রয়ের পর আর্জেন্টিনার ভাগ্য তুলনামূলকভাবে সহনীয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। লিওনেল স্কালোনির দলকে গ্রুপ পর্বে খেলতে হবে আলজেরিয়া, অস্ট্রিয়া ও জর্ডানের বিপক্ষে। বিপরীতে, নতুন কোচ কার্লো আনচেলত্তির অধীনে থাকা ব্রাজিলের গ্রুপ বেশ কঠিন—মরক্কো, স্কটল্যান্ড ও হাইতির সঙ্গে লড়তে হবে সেলেসাওদের।   বিশ্বকাপের ইতিহাসে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল মুখোমুখি হয়েছে মাত্র চারবার। শেষবার ১৯৯০ বিশ্বকাপে, যেখানে মারাদোনার চোখধাঁধানো পাস থেকে কানিজিয়ার গোল ব্রাজিলকে বিদায় জানিয়েছিল। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ মঞ্চে ব্রাজিল জিতেছে দু’বার, আর্জেন্টিনা একবার, আর একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।   ২০২৬ সালে সেই ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যুক্ত হবে কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। একটি বিষয় অবশ্য পরিষ্কার—যদি আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল মুখোমুখি হয়, তা হবে বিশ্বকাপের সবচেয়ে আলোচিত ম্যাচগুলোর একটি। শুধু কবে, সেটাই এখনও অজানা।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow