যুদ্ধ থামাতে মার্কিন পরিকল্পনায় কাজ করতে প্রস্তুত জেলেনস্কি

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত একটি শান্তি পরিকল্পনায় কাজ করতে সম্মতি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যদিও ইউরোপের বিভিন্ন মিত্রদেশ এ পরিকল্পনাকে রাশিয়াঘেঁষা বলে সমালোচনা করেছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  বৃহস্পতিবার জেলেনস্কির দপ্তর জানিয়েছে, তিনি পরিকল্পনার খসড়া পেয়েছেন এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন। খসড়ার বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য না করে জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেনের জনগণের জন্য যেসব মৌলিক নীতি গুরুত্বপূর্ণ, তা তিনি তুলে ধরেছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, ২৮ দফার এ পরিকল্পনায় ইউক্রেনকে কিছু অঞ্চল ও অস্ত্র ছাড় দিতে হতে পারে। অ্যাক্সিওসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী রাশিয়াকে পূর্ব ইউক্রেনের এমন কিছু এলাকা দেওয়া হতে পারে যা এখনো মস্কোর নিয়ন্ত্রণে নেই, বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন ও ইউরোপের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও

যুদ্ধ থামাতে মার্কিন পরিকল্পনায় কাজ করতে প্রস্তুত জেলেনস্কি

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত একটি শান্তি পরিকল্পনায় কাজ করতে সম্মতি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যদিও ইউরোপের বিভিন্ন মিত্রদেশ এ পরিকল্পনাকে রাশিয়াঘেঁষা বলে সমালোচনা করেছে।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার জেলেনস্কির দপ্তর জানিয়েছে, তিনি পরিকল্পনার খসড়া পেয়েছেন এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন। খসড়ার বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য না করে জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেনের জনগণের জন্য যেসব মৌলিক নীতি গুরুত্বপূর্ণ, তা তিনি তুলে ধরেছেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, ২৮ দফার এ পরিকল্পনায় ইউক্রেনকে কিছু অঞ্চল ও অস্ত্র ছাড় দিতে হতে পারে। অ্যাক্সিওসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী রাশিয়াকে পূর্ব ইউক্রেনের এমন কিছু এলাকা দেওয়া হতে পারে যা এখনো মস্কোর নিয়ন্ত্রণে নেই, বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন ও ইউরোপের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ গত এক মাস ধরে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে এ পরিকল্পনা তৈরি করছেন। ট্রাম্প পরিকল্পনাটি সমর্থন করছেন বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।

জেলেনস্কি পরে জানান, তিনি কিয়েভে মার্কিন আর্মি সেক্রেটারি ড্যানিয়েল ড্রিসকলের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। টেলিগ্রামে তিনি লিখেন, আমাদের ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের দল শান্তি পরিকল্পনার বিষয়গুলোতে কাজ করবে।

অন্যদিকে রাশিয়া নতুন মার্কিন উদ্যোগকে গুরুত্বহীন হিসেবে মন্তব্য করেছে। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা চলছে না। কিছু যোগাযোগ আছে, তবে এটাকে আলোচনার প্রক্রিয়া বলা যাবে না।

ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে আগ্রহ দেখালেও ইউরোপীয় দেশগুলো সন্দেহ প্রকাশ করেছে। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-নোয়েল বারো বলেন, ইউক্রেন ন্যায়সংগত শান্তি চায়—যে শান্তি সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে এবং ভবিষ্যৎ আগ্রাসনের ঝুঁকি কমাবে। কিন্তু শান্তি কখনো আত্মসমর্পণ হতে পারে না।

ইইউ পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কায়া কাল্লাস বলেন, যে কোনো শান্তি প্রস্তাবে ইউরোপ ও ইউক্রেনের সম্মতি জরুরি। পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাদোসওয়াফ সিকোরস্কি জানান, ইউরোপের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, তাই যে কোনো আলোচনায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow