নায়ক আলমগীরের মেয়ে হিসেবে জন্মেছেন তারকা আমেজ নিয়ে। শিশু বয়সেই সিনেমা করতে গিয়ে জয় করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তবে অভিনয়ে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেননি। মা গীতিকবি খোশনূরের প্রভাবেই হয়তো গানকে জীবনের সঙ্গী করে নিয়েছেন। করেছেন পেশাও। তিনি আঁখি আলমগীর।
অভিনয়ের মতো গানেও তিনি সফল। হিট গান যেমন উপহার দিয়েছেন তেমনি গায়িকা হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। এখনো তিনি গানে নিয়মিত। তার দেখা মেলে দেশে বিদেশে কনসার্ট, স্টেজ শোসহ নানা আয়োজনে।
আসছে ঈদে আঁখি আলমগীর হাজির হবেন মাছরাঙা টিভির একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে তিনি জানাবেন তার অজানা যত কথা। যার মধ্যে রয়েছে তার ঈদ কার্ডপ্রীতির কথা। খুব ছোটবেলায় ঈদের আগে নিউমার্কেট থেকে আর্ট পেপার কিনে নিজ হাতে কার্ড বানাতেন সংগীত তারকা আঁখি আলমগীর। সমসাময়িক ভাই-বোন বা বন্ধুদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো, কার তৈরি কার্ড সবচেয়ে বেশি সুন্দর হয়। দেশের ভেতর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুরা পেতো সেই কার্ড। কখনো আবার দেশের বাইরে থাকা আত্মীয়-স্বজনদেরও সেই কার্ড পাঠানো হতো।
আঁখি আলমগীর বলেন, ‘আমি এখনো দেশের বাইরে গেলে কার্ডের দোকানে যাই। কার্ড কিনি। প্রিয়জনদের জন্য বা হয়তো নিজের জন্য কার্ড কিনে দেশে ফিরে ড্রয়ারে রেখে দেই। এটি আমার অন্য ধরনের ভালো লাগার একটি বিষয়।’
মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রতিদিন সকালের নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘রাঙা সকাল’-এর ঈদের বিশেষ আয়োজনে এসে সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর এসব কথা জানাবেন। রুম্মান রশীদ খান ও লাবণ্য’র সঞ্চালনায়, জোবায়ের ইকবালের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানের এই পর্বটি প্রচারিত হবে ঈদের চতুর্থ দিন সকাল ৭টা থেকে ৯টায়।
আয়োজনে আঁখি আরও জানাবেন একসময় প্রিয়জনকে তার চিঠি লেখার মজার কথা। লেখার প্যাডে পারফিউম ছড়িয়ে চিঠি লেখার ‘নিনজা টেকনিক’ও নাকি আবিষ্কার করেছিলেন তিনি। আঁখি আলমগীরের জীবনীশক্তি বরাবরই প্রশংসা পায় সংগীত জগতে। এ প্রসঙ্গে আঁখি আলমগীর বলেন, একবার বাংলা নববর্ষে একই দিনে ৩টি শো’তে বিরতিহীনভাবে গান করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। বেশ কয়েকবার ঢাকার বাইরে থেকে শো করে জ্যাম ঠেলে ঢাকায় আরেকটি শো ধরার রেকর্ডও রয়েছে।
তিনি আরও জানাবেন, কেন আইন বিষয়ে পড়াশোনার মাঝেই ছেদ পড়েছিল। সেইসঙ্গে এখনো সুযোগ পেলে নতুন করে পড়াশোনা শেষ করে আইনজীবী পরিচয়ে নিজেকে পরখ করে নিতে চান, মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান; সেই কথাও বলবেন তিনি।
এলআইএ/এএসএম