অজুর পর আকাশের দিকে তাকিয়ে কালেমায়ে শাহাদাত পড়া কি মুস্তাহাব?

3 months ago 48

অজুর পর কালেমায়ে শাহাদাত পড়া মুস্তাহাব। ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে অজুর পর কালেমায়ে শাহাদাত পড়ার অপরিসীম ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, পরিপূর্ণরূপে ওজু করে যে ব্যক্তি পড়বে,

أَشهَدُ أَنْ لاَ إلهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ

উচ্চারণ: আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসূলুহু।

অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই; তিনি একক, তার কোন শরিক নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার বান্দা ও রাসুল।

তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেওয়া হবে, সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা জান্নাতে প্রবেশ করবে। (সহিহ মুসলিম: ৫৭৬)

অন্য একটি দুর্বল বর্ণনায় এসেছে, পরিপূর্ণরূপে অজু করার পর ‘আকাশের দিকে তাকিয়ে’ কালেমায়ে শাহাদাত পড়লে উপরোক্ত ফজিলত লাভ হবে। (মুসনাদে আহমাদ ১২১)

সম্ভব হলে এর ওপর আমল করা যায়। না করলেও অসুবিধা নেই। আকাশের দিকে তাকানো মানে ওপরের দিকে তাকানো। তাই আবদ্ধ জায়গায় অজু করলে ওপরের দিকে তাকিয়ে পড়লেই হবে; আকাশ দেখা যাওয়া জরুরি নয়।

ইসলামে নামাজ, তাওয়াফ, কোরআন স্পর্শ করার জন্য অজু অবস্থায় থাকা বাধ্যতামূলক। জিকির, তিলাওয়াতসহ অনেক আমল অজু ছাড়াও করা যায়, কিন্তু অজু অবস্থায় করলে সওয়াব বেড়ে যায়। কোনো আমলের উদ্দেশ্য ছাড়াও অজু করা, অজু অবস্থায় থাকা সওয়াবের কাজ। বিভিন্ন হাদিসে অজু অবস্থায় ঘুমানোরও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। কোরআনে আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলা বলেছেন,

اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ التَّوَّابِیۡنَ وَ یُحِبُّ الۡمُتَطَهِّرِیۡنَ

নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবাহকারীদের ভালবাসেন এবং যারা পবিত্র থাকে তাদেরও ভালবাসেন। (সুরা বাকারা:২২২)

ওএফএফ/জেআইএম

Read Entire Article