অঝোরে কাঁদলেন চঞ্চল চৌধুরী

2 hours ago 2

কখনো কখনো কিছু কথা হৃদয়ের এত গভীরে গিয়ে লাগে, যে কান্না আটকে রাখা যায় না। সম্প্রতি এমনই এক মুহূর্তের সাক্ষী হলো টেলিভিশনের একটি বিনোদনমূলক আড্ডা, যেখানে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি—অঝোরে কেঁদে ফেললেন।

দুই বাংলার কিংবদন্তি অভিনেতা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি এবং সহশিল্পী জয়া আহসানের মুখে নিজের প্রতি এত ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার কথা শুনে চঞ্চল হয়ে পড়লেন আবেগে আপ্লুত।

একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের আয়োজনে এক বিশেষ পর্বে অতিথি ছিলেন চঞ্চল চৌধুরী। অনুষ্ঠানে হঠাৎই চমক হিসেবে দেখানো হয় প্রসেনজিৎ ও জয়ার পাঠানো ভিডিও বার্তা—যেখানে তারা নিজেরা চঞ্চলকে নিয়ে বলছিলেন মনের কথা।

প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি বলেন, ‘চঞ্চল চৌধুরী আমার খুব প্রিয়, মনের মানুষ। আমি জানি না আমি কতটা যোগ্য ওর অভিনয় নিয়ে বলার, তবে ওর কাজ আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি।

প্রথম পরিচয় মনের মানুষ সিনেমায়। কিন্তু ওর মনপুরা দেখে আমি আগেই মুগ্ধ ছিলাম। তখনই ভাবছিলাম—এই ছেলেটা কে? পরে যখন একসঙ্গে কাজ করলাম, বুঝলাম সে শুধু ভালো অভিনেতাই নয়, ভালো মানুষও।’

তিনি আরও বলেন, ও যদি বয়সে আমার ছোট না হতো, আমি হয়তো ওর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতাম। পদাতিক সিনেমায় ওর অভিনয় আমাকে স্তম্ভিত করেছে। আমি গর্বিত, ওকে আমি চিনি। একজন ভালো অভিনেতা হতে হলে আগে ভালো মানুষ হতে হয়—চঞ্চল সেটা প্রমাণ করেছে।

প্রসেনজিতের এমন অন্তর থেকে বলা কথা শুনে চঞ্চল কান্না আর ধরে রাখতে পারেননি। ক্যামেরার সামনেই কেঁদে ফেলেন তিনি।

জয়া আহসান বলেন, ‘চঞ্চল শুধু একজন অভিনেতা নন, তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। সহশিল্পী হিসেবে তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।

মানুষ হিসেবে, শিল্পী হিসেবে তিনি অনন্য। আমি গর্বিত—এমন একজন কিংবদন্তিকে আমার পাশে পেয়েছি।’

চোখ মুছতে মুছতে চঞ্চল বললেন, ‘আমি অভিনয় করি, এটা আমার পেশা, আমার নেশা, আমার ভালোবাসা। কিন্তু বুম্মা দার (প্রসেনজিৎ) কাছ থেকে এমন সম্মান পাবো, সেটা স্বপ্নেও ভাবিনি। জয়া যে এত আবেগ নিয়ে বলবে, সেটাও বুঝিনি। আমি সত্যি... আবেগে কিছুই বুঝতে পারছি না। এ যেন এক জীবনের বড় পাওয়া।’

এই পুরো মুহূর্তটি শুধু একটা টেলিভিশন পর্ব নয়—দুই বাংলার গুণী শিল্পীদের হৃদয়ের সংযোগ, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার এক মাইলফলক।

আর চঞ্চলের চোখের জল—তা ছিল অভিনয়ের জন্য নয়, মানুষ হিসেবে নিজের কাজের স্বীকৃতির জন্য।

Read Entire Article