অটোরিকশা গ্যারেজে অভিযান, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
সিলেটে ১১টি স্থানে অটোরিকশা গ্যারেজে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ সময় অটোরিকশা গ্যারেজের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ১০টি মিটার বক্স, ১৪৫ ফুট তার ও ১৮০টি চার্জিং পয়েন্ট জব্দ করা হয়।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর শামীমাবাদ, কানিসাইলসহ ১১টি স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সড়কে শৃঙ্খলা, অবৈধ যানবাহন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিদ্যুৎ বিভাগ ও র্যাব।
জেলা প্রশাসনের আরডিসি মাহমুদ আশিক করিমের নেতৃত্বে অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও র্যাবের সদস্যরা।
মাহমুদ আশিক বলেন, সিলেটে দীর্ঘদিন ধরে নিবন্ধনবিহীন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা বাড়তে থাকায় যানজট, দুর্ঘটনা ও জনভোগান্তি বেড়ে যায়। এ অবস্থায় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার্জিং পয়েন্ট শনাক্ত করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে।
মহানগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী ৩৮টি চার্জিং পয়েন্টে সংযোগ বিচ্ছিন্নের কার্যক্রম চলছে। এর বাইরেও যদি কোথাও সংযোগ থাকে, সেগুলোও বিচ্ছিন্ন করা হবে। সিলেটকে নিরাপদ নগর হিসেবে গড়ে তুলতে যা যা করা প্রয়োজন, সব করা হবে।
অভিযানের বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সিলেট মহানগরীতে অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অন্যান্য অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে পুলিশের কঠোর অভিযান চলছে। প্রথম দিনে পাঁচটি পয়েন্টে এবং দ্বিতীয় দিনে তা বাড়িয়ে ১০টি পয়েন্টে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশের তিনটি মোবাইল টিম মহানগরীর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিতেও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।
ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদের ব্যাপারে মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন, লালদিঘিরপাড়ে হকার্স মার্কেটের প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে শিগগির ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু হবে। সিলেটকে নিরাপদ, হকারমুক্ত ও যানজটমুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
অবৈধ সিএনজি অটোরিকশার পেছনে পুলিশের টোকেন বাণিজ্য বন্ধে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কোনো পুলিশ সদস্য যদি এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।