অতিবৃদ্ধ ব্যক্তির ওপর কি জুমার নামাজ ওয়াজিব?

2 weeks ago 17

জুমার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ওয়াজিব আমল হলো জুমার নামাজ। জুমার নামাজের গুরুত্ব বোঝাতে রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি অলসতা করে ধারাবাহিকভাবে তিনটি জুমার জামাতে অনুপস্থিত থাকে, আল্লাহ তা’আলা তার অন্তরে মোহর মেরে দেন। (সুনানে নাসাঈ) অর্থাৎ সেই অন্তর হেদায়াত পাওয়ার অযোগ্য হয়ে যায়।

তবে সবার ওপর জুমা আদায় করা ওয়াজিব নয়। জুমার নামাজ ওয়াজিব মুসলমান প্রাপ্তবয়স্ক, জ্ঞানসম্পন্ন (যিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন নন) মুকিম (যিনি মুসাফির নন) স্বাধীন (যিনি ক্রিতদাস নন) নগর বা লোকালয়ের অধিবাসী পুরুষদের ওপর; যার এমন কোনো গ্রহণযোগ্য অসুবিধা, অসুস্থতা বা বার্ধক্য নেই যে কারণে তিনি মসজিদে উপস্থিত হতে ও জুমা আদায় করতে অক্ষম।

রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার নামাজ প্রত্যেক মুসলিমের উপর জামাআতের সাথে আদায় করা ওয়াজিব। কিন্তু তা চার প্রকার লোকের উপর ওয়াজিব নয়; ক্রীতদাস, মহিলা, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তি। (সুনান আবু দাউদ)

আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ ও পরকালের ওপর যাদের ইমান আছে, তাদের ওপর জুমা ওয়াজিব। তবে অসুস্থ, মুসাফির, নারী, শিশু ও ক্রিতদাসদের ওপর জুমা ওয়াজিব নয়। (দারাকুতনি)

যে অতিবৃদ্ধ ব্যক্তি একা চলাফেরা করতে অক্ষম তিনি ‘অসুস্থ’ গণ্য হন। তার ওপর জুমার নামাজ ওয়াজিব নয়। এ রকম অতিবৃদ্ধ ব্যক্তি জুমায় শরিক না হয়ে একা জোহরের নামাজ আদায় করতে পারবেন।

এ ছাড়া মুসাফির ও নারীর ওপর জুমা ওয়াজিব নয়। যে ব্যক্তি এমন বিজন কোনো জায়গায় অবস্থান করছেন, যেখানে জুমার নামাজ আদায় করার মতো মানুষ নেই এবং তিনি জুমার জন্য লোকালয়ের কোনো মসজিদে উপস্থিতও হতে পারছেন না, তার ওপর জুমা ওয়াজিব নয়। মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি ও অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের ওপর কোনো ইবাদতই ফরজ বা ওয়াজিব নয়, জুমাও তাদের ওপর ওয়াজিব নয়।

ওএফএফ/এমএস

Read Entire Article