জাতীয় দলে অভিষেক টেস্ট দিয়ে। তাও সাড়ে ৫ বছর আগে (২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে)। টেস্টে সুবিধা করতে পারেননি খুব একটা। দেড় বছর পর ২০২১ সালে সাইফ হাসানকে সুযোগ দেয়া হলো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। টেস্ট থেকে সোজা ২০ ওভারের ফরম্যাটে। আবির্ভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি সাইফ।
২০২১ সালের নভেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে লাল সবুজ জার্সি গায়ে চরম ব্যর্থ (২ ম্যাচে রান মোটে ১ আর ০) হন সাইফ। ২০২৩ সালে হাংজুতে এশিয়ান গেমসে খেললেও সেটা আসলে ঠিক পুরোদস্তুর জাতীয় দল ছিল না। জাতীয় দলের মোড়কে আসলে ‘এ’ দল অংশ নেয় ২০২৩-এর হাংজু এশিয়ান গেমস ক্রিকেটে। সে আসরের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি (৫০) হাঁকালেও পরের ২ ম্যাচে আবার ভারত (১) ও পাকিস্তান ও ভারতের (০) সাথে আবার ব্যর্থ।
তারপর ২ বছর আবার ডাক পাননি। এ বছর আগস্টে সিলেটে নেদারল্যান্ডসের সাথে আবার তৃতীয় দফা টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পেয়েই জ্বলে উঠতে শুরু করেছেন সাইফ।
আগস্টে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১৯ বলে ৩৬ রানের ইনিংসেই দেখা মেলে নতুন সাইফের। তারপরও সন্দেহ ছিল, দূর্বল দলের সাথে রান পেয়েছেন। কঠিন প্রতিপক্ষর সাথে নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন তো?
কিন্তু না, সাইফ সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন। সবশেষ ৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে (১২, ৩০, ৬১, ৬৯, ১৮, ০, ১৮, ৬৪) চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে মাঠ মাতানো এবং কয়েকটি কার্যকর ইনিংস খেলে সাইফ দলে অবস্থান মজবুত করেছেন। তার ব্যাট থেকে গত ২ মাসে টি-টোয়েন্টিতে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি বেরিয়ে এসেছে।

এখন টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি ওয়ানডেতেও সাইফ নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে ৬ ছক্কা হাঁকিয়ে ৮১ রান করেছেন সাইফ।
নিজেকে খুঁজে পাওয়া ইনফর্ম সাইফের বর্তমান ফর্ম দেখে সন্তুষ্ট টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেন লিটন দাসও। সাইফের বর্তমান ফর্ম ও খেলার ধরন লিটন দাসেরও মনে ধরেছে। তিনি চান সাইফ এখন যেভাবে ভয়, ডরহীন ক্রিকেট খেলছেন, যেভাবে উইকেটের সামনে, পিছনে ও দুই দিকে বাহারি শটস খেলছেন, অবলীলায় বড় বড় ছক্কা হাঁকাচ্ছেন, সেই সাহস, উদ্যম আর শটস খেলার মানসিকতা এবং ফর্মটা যেন বজায় থাকে।
তাই লিটনের পরামর্শ সাইফ যেন এভাবেই খেলেন। সাইফকে দলে থাকা না থাকা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে নিজের মত করে খেলার পরামর্শ দিয়ে টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘সাইফের ব্যাটিং আমাকে ইমপ্রেস করেছে। বোঝা যাচ্ছে সাইফ এখন খেলাটা এনজয় করছে। তাই যে কোনো কিছু করতে চাইলেই ভালো লাগতেছে। একটা পজিটিভ সাইন হচ্ছে যখন সে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আসলো, ব্যাটিং প্লাস বোলিংয়েও সে কার্যকারিতা দিচ্ছে এবং ওয়ানডেতেও দেখেন যে সে বল করেছে, সাকসেস হয়েছে। এবং ব্যাটিংয়েও সফল হচ্ছে। টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেন হিসেবে আমার একটাই চাওয়া থাকবে, সাইফ যেভাবে ভয়-ডরহীন ফ্রি ক্রিকেট খেলছে, ঠিক এইভাবেই যেন খেলে এবং তার ভবিষ্যৎ যেন উজ্জ্বল থাকে সবসময়। সে ভালো খেললে বাংলাদেশ টিমের জন্য বেটার হবে।’
এআরবি/আইএইচএস

4 hours ago
7









English (US) ·