এল ক্লাসিকোর আগে কষ্টের জয়ে শীর্ষে রিয়াল
এল ক্লাসিকোর ঠিক আগেই নিজেদের প্রমাণ দিল রিয়াল মাদ্রিদ। মাঠে ছিল না আগের মতো ঝলক, খেলায়ও ছিল না কোনো বিশেষ সৌন্দর্য। তবুও গেটাফের মাঠে এমবাপ্পের একমাত্র গোল আর কোর্তোয়ার শেষ মুহূর্তের বীরত্বে তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ল লস ব্লাঙ্কোস। টিকে গেল লিগের শীর্ষস্থানও।
ম্যাচের শুরু থেকেই গেটাফে নিজেদের মতো করে খেলছিল — সুশৃঙ্খল রক্ষণ, দৃঢ় মধ্যমাঠ আর লড়াকু মনোভাব। প্রতিপক্ষের খেলা ভাঙতে তারা পারদর্শী, আর ঠিক সেখানেই ভুগেছে রিয়াল। একের পর এক আক্রমণ গড়ে তুলেও প্রথমার্ধে গোল খুঁজে পায়নি মাদ্রিদ। এমবাপ্পে একাধিকবার সুযোগ তৈরি করলেও গেটাফের রক্ষণে দাঁত বসাতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধে জাবি আলোনসো মাঠে নামালেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে, কিছুক্ষণের মধ্যেই বদলি হিসেবে এলেন তরুণ আরদা গুলের। এই দুই খেলোয়াড় মাঠে নামার পরই বদলে গেল ম্যাচের চেহারা। ভিনির দ্রুতগতি ও ড্রিবলিংয়ে ভয় ধরল গেটাফের ডিফেন্সে। আর এভাবেই জন্ম নিল নাটকীয়তার।
প্রথমে নাইয়ম নামার ৪৫ সেকেন্ডের মধ্যেই ভিনির ওপর ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখলেন। তারপর আরেকটি আক্রমণে সানক্রিস পেছন থেকে কিক মারেন ব্রাজিলিয়ানকে, দেখেন দ্বিতীয় হলুদ ও লাল। গেটাফে তখন নয়জন নিয়ে লড়ছে।
এই বিশৃঙ্খলার সুযোগ নিল রিয়াল। ৭৮তম মিনিটে গুলের এক দারুণ থ্রু-পাস ধরে মাঝখানে ঢুকে পড়েন কিলিয়ান এমবাপ্পে। নিখুঁত টার্নে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বল পাঠান জালে— রিয়াল এগিয়ে যায় ১-০ গোলে।
শেষ মুহূর্তে গেটাফের কামারা একা একা গোলের সামনে দাঁড়িয়েও কোর্তোয়ার বাধা পেরোতে পারেননি। বেলজিয়ান গোলরক্ষকের সেই সেভই নিশ্চিত করে দিল রিয়ালের জয় ও শীর্ষস্থান।
ফলাফলটি হয়তো রোমাঞ্চকর ছিল না, কিন্তু উদ্দেশ্য পরিষ্কার— বার্সেলোনার বিপক্ষে এল ক্লাসিকোর আগে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখাই ছিল মূল লক্ষ্য। এবং তাতে সফল রিয়াল মাদ্রিদ।