স্কুলে নিজের রুমেই বসেছিলেন প্রিন্সিপাল (অধ্যক্ষ)। হঠাৎ স্কুলের কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকা তার রুমে প্রবেশ করেন। রুমে প্রবেশ করেই হুমকি দেওয়া শুরু করেন। তারপরই তাকে চেয়ার ছেড়ে উঠে যেতে বলা হয়। কিন্তু প্রিন্সিপাল প্রতিবাদ করতেই প্রায় মারমুখী হয়ে ওঠেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
প্রিন্সিপালের ফোন কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করা হয়। এ সময় তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি চলে। শেষমেশ প্রিন্সিপালের হাত ধরে চেয়ার থেকে টেনে তুলে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেওয়া হয়।
Prayagraj, Uttar Pradesh
Administration of Bishop Johnson Girls School decided to replace their Principal.
They literally threw her from her chair.
Lawyer was seen manhandling her along with school staffs.@Uppolice @DM_PRAYAGRAJ @NCWIndia
pic.twitter.com/b1FW4GmqhS
শুধু তাই নয়, প্রিন্সিপালের সেই চেয়ারে নবনিযুক্ত প্রিন্সিপালকে বসিয়ে হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়। স্কুলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।
জানা গেছে, এটি একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ঘটনা। ওই প্রিন্সিপালের নাম পারুল সলোমন। ভারতের উত্তরপ্রদেশ পিএসসি-র রিভিউ অফিসার (আরও) ও অ্যাসিস্ট্যান্ট রিভিউ অফিসার (এআরও) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বসন্ত যশবন্ত নামে ওই স্কুলেরই এক কর্মী গ্রেফতার হন। তিনি গ্রেফতার হতেই প্রিন্সিপাল পারুলের এই ঘটনায় জড়িয়ে থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরই সহকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তারপরই স্কুল কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়েন প্রিন্সিপাল।
স্কুলের শীর্ষ কর্মকর্তা মরিস এডগার ড্যান জানিয়েছেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি আরও ও এআরও-র পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষায় কোটি কোটি রুপি কেলেঙ্কারি হয়েছে। স্কুলেরই এক কর্মী এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন। তারপরই প্রিন্সিপালের নাম প্রকাশ্যে আসে। ওই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে থাকার জন্য প্রিন্সিপালকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, শার্লি ম্যাসিকে নতুন প্রিন্সিপাল হিসেবে নিয়োগ করতেই প্রিন্সিপাল পারুল রুম থেকে বের হচ্ছিলেন না। দরজা না খোলায় ভেঙে ভিতরে ঢোকেন সহকর্মীরা। তারপর প্রিন্সিপাল পারুলকে চেয়ার থেকে টেনে তুলে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন প্রিন্সিপাল পারুল। যদিও এডগার ড্যানের দাবি, গোটা ঘটনার ভিডিও করা হয়েছে। প্রিন্সিপাল পারুলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
সূত্র: এনডিটিভি
এমএসএম