অন্তঃসত্ত্বা  স্ত্রীকে খেতে দেননি কুমার শানু

1 hour ago 3

ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার শানু আবারও খবরের শিরোনামে। তবে এবার সুরের জন্য নয়, বিতর্কের জন্য। কোটি শ্রোতার হৃদয় জয় করা এই কিংবদন্তি গায়ককে ঘিরে এবার উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। প্রাক্তন স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্য প্রকাশ্যে এনে দিলেন শানুর অতীত জীবনের এক অন্ধকার অধ্যায়। গর্ভাবস্থায় নাকি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। এই বিস্ফোরক অভিযোগে সরগরম সংগীতজগৎ ও নেটদুনিয়া।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর রীতা বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বা সাজগোজ করতে পারতেন না। গর্ভাবস্থায় তার ওপর বেঁধে দেওয়া হয় নানা ধরনের বিধিনিষেধ। অভিযোগ, পরিবারের অনুপস্থিতিতে তিনি চাল কিনে লুকিয়ে রাখতেন এবং আত্মীয়ের রান্নাঘরে গিয়ে রান্না করে খেতেন।

এ বিষয়ে রীতা বলেন, ‘ওরা যখন বাইরে বের হতো, রান্নাঘরে তালা দিয়ে দিত। তখন আমি ভাত খাওয়ার জন্য বৌদির কাছে যেতাম। আমি নিজেই একটু চাল কিনে রেখেছিলাম। বৌদির রান্নাঘরে গিয়ে রেঁধে নিতাম, তারপরে খেতে পারতাম।’

তিনি আরও বলেন, জানো তৃতীয় সন্তান যখন আমার গর্ভে, তখন ঠিকমতো খেতে পারিনি, প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তাম।’

তিনি আরও জানান, সেই সময় কুমার শানুর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল এবং একাধিকবার তাকে আদালতে যেতে বাধ্য করা হয়। 

‘আশিকি’ ছবির পরে বিপুল সাফল্য আসে শানুর জীবনে। ছবির গানগুলো সফল হওয়ার পরে পারিশ্রমিকও বেড়ে যায় অনেকটা। সে কারণেই নাকি তখন নাকি শানুর আচরণও বদলে যায়।

উল্লেখ্য, কুমার শানু ও রীতার বিয়ে হয় ১৯৮৪ সালে। তাদের তিন সন্তান রয়েছে। ১৯৯৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়।

Read Entire Article