বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সহনশীলতা, ভিন্ন মতকে সম্মান এবং মুক্তচিন্তার বিকাশের আগ্রহ কম। যা দেশকে পিছিয়ে রাখছে। ফলে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে চিন্তাধারায় বৈচিত্র্য আনা জরুরি।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ইএমকে সেন্টারে মার্কিন দূতাবাস আয়োজিত ‘অ্যালামনাই টক: আমেরিকান ডাইভারসিটি থ্রু বাংলাদেশি ভয়েস’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা এ কথা বলেন।
অ্যালামনাই টকের তৃতীয় সেশনে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের শিক্ষা এবং উদ্যোক্তা খাতগুলোতে তাদের বিনিময় অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা হয়।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের ভাইস কনসাল সজয় মেননের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন প্রাক্তন প্রফেশনাল ফেলো এবং ক্লে স্টেশনের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দা শারমিন আহমেদ এবং ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড স্টাডির (ইয়েস) প্রাক্তন ছাত্র এবং আইআর্ন বাংলাদেশের প্রাক্তন ছাত্র সমন্বয়ক রাইসোনা আলম।
আলোচকরা যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। ১৮ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ সামনে রেখে মার্কিন দূতাবাস তাদের এই অ্যালামনাই টক অনুষ্ঠানে দুজন প্রাক্তন অ্যালামনাইকে তাদের অভিজ্ঞতা জানাতে আহ্বান করে।
সৈয়দা শারমিন আহমেদ আমেরিকায় তার মাসব্যাপী এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, আমাদের সবার মুক্তচিন্তার বিকাশ ঘটানো উচিত। অন্যের মতকে সম্মান দেওয়ার মাধ্যমে সহনশীলতা এবং সম্প্রীতি বাড়াতে কাজ করতে হবে।
রাইসোনা আলম তার টেক্সাসের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, আমি এখান থেকে কিছু অসাধারণ বন্ধু পেয়েছি, যাদের সঙ্গে আমার এখনো যোগাযোগ হয়। বিশেষ করে আমেরিকায় থাকাকালীন সেখানে আমার হোস্ট পরিবার এখনো আমার খোঁজখবর নেন। এটি অন্যরকম এক অনুভূতি।
অনুষ্ঠানে ইউএস এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের অ্যালামনাইসহ অন্য প্রোগ্রামগুলোর অ্যালামনাইরা উপস্থিত ছিলেন।
এসআরএস/এমকেআর/জেআইএম