অপারেশন ডেভিল হান্টে যশোরে গ্রেপ্তার ২৪

5 hours ago 4
যশোরে অপারেশন ডেভিল হান্টে গত ২৪ ঘণ্টায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার গভীর রাত থেকে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ১৫ জন এবং কোতোয়ালি থানা পুলিশের অভিযানে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আটকরা হলেন- সদরের নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের মৃত হাজী খোরশেদ আলম বিশ্বাসের ছেলে ফেরদৌস আলম, যশোরের উপশহর ডি-ব্লকের মনিরুজ্জামানের ছেলে মিজানুর রহমান রাফি, শেখহাটি তরফ নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে আব্দুল হামিদ খোকন, ফতেপুরের ভায়না গ্রামের মৃত শুকুমার ঘোষের ছেলে মদন ঘোষ, একই গ্রামের মৃত বদর উদ্দীনের ছেলে শেখ হারুন অর রশীদ, রামকৃষ্ণপুরের মৃত হোসেন আলী মোল্যার ছেলে সোহরাব হোসেন শিহাব, লেবুতলার এনায়েতপুরের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে শাহিনুর রহমান, একই গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে তুষার ও লেবুতলার মৃত আকমলের ছেলে জাহিদুর রহমান। স্থানীয়রা জানান, ফেরদৌস নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। ইউনিয়নজুড়ে ফেরদৌসের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। পুলিশ জানান, আটকৃতদের মধ্যে ফেরদৌস আলম ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা হলেও তার দাপটে অস্থির ছিল পুরো ইউনিয়নবাসী। ইউনিয়নজুড়ে দখলদারি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের ব্যক্তিদের হয়রানি ও চাঁদাবাজিতে লিপ্ত ছিলেন তিনি। ইউনিয়নের মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছিলেন ফেরদৌস। তার দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল ইউনিয়নবাসী। সম্প্রতি ওই গ্রামের নুর ইসলাম নামে জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়সহ বিভিন্ন ঘটনায় ডজন খানেক অভিযোগ রয়েছে ফেরদৌসের বিরুদ্ধে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কাজী বাবুল জানান, আটক ৯ জনের বিরুদ্ধে পৃথক অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর যশোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রে বোমাবাজির অভিযোগে গত ১৯ নভেম্বর কোতোয়াালি থানায় মামলা করেন অ্যাডভোকেট মুন্সী মঞ্জুরুল ইসলাম। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই ৯ জনকে আটক করা হয়। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, কোতোয়ালি মডেল থানায় ৯ জন ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আরও ১৫ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। অপারেশন ডেভিল হান্ট যৌথভাবে পরিচালিত হলেও পুলিশি কার্যক্রম আরও গতিশীল হয়েছে। এ ছাড়া অপরাধ দমনে জনগণের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারবে বাহিনীটি।
Read Entire Article