বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেছেন, বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করতে কাঠামোগত সংস্কারের প্রয়োজন। আমাদের উন্নতির সূচক খুবই নিচে, কিন্তু বর্তমান সরকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্কার, অপ্রয়োজনীয় নীতি ও অন্তরায় দ্রুত দূর করে বিনিয়োগে বৈচিত্র্যকরণ করতে কাজ করে যাচ্ছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বিডা এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) যৌথ আয়োজনে এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী অগ্রাধিকার খাতসমূহে বিনিয়োগ বৈচিত্র্যকরণ শীর্ষক কর্মশালার এ কথা বলেন তিনি।
কর্মশালায় ইউকে ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) অর্থায়নে এবং সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) পরিচালিত একটি গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল তুলে ধরা হয়।
বিডার নির্বাহী আরও বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে। বিনিয়োগ ক্ষেত্রে বিদ্যমান কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ দূর হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ইউএনডিপি বাংলাদেশের সিনিয়র ইকোনমিক অ্যাডভাইজর ওয়াইস পারায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অবকাঠামো এবং মানবসম্পদের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান।
তিনি কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, পাটজাত পণ্য এবং আইটি-সেবা খাতের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি দক্ষতার ঘাটতি, পুরোনো প্রযুক্তি এবং নিয়ন্ত্রক জটিলতাসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেন এবং খাতভিত্তিক উন্নয়নের জন্য সুপরিকল্পিত নীতিমালা গ্রহণের পরামর্শ দেন।
এসএম/এমআইএইচএস/জিকেএস