অফিস-আদালতে ই-সিগনেচার চালু করতে হাইকোর্টে রুল

3 months ago 46

দেশের সব অফিস-আদালতে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর (ই-সিগনেচার) প্রথা চালু করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ই-সিগনেচার বাস্তবায়নে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা হলফনামা আকারে আগামী ১২ আগস্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে মানবাধিকার সংস্থা ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের করা রিটের শুনানিতে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।

আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির (পল্লব)। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট নাঈম সরদার ও ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার।

গত ১ এপ্রিল দেশের সব অফিস-আদালতে ই-সিগনেচার চালু করতে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়। রিটে আটজনকে বিবাদী করা হয়।

রিট ও আইনি নোটিশে বলা হয়, অনেক সময় অনেকে স্বাক্ষর করলেও পরে অস্বীকার করেন এবং তিনি প্রকৃতপক্ষে স্বাক্ষর করেছিলেন কি না তা কোর্টে বা অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রমাণ করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। অনেকে ফেসবুকে পোস্ট করে বা ই-মেইল দেওয়ার পর আইনি জটিলতা দেখা দিলে পরে অস্বীকার করেন। ই-স্বাক্ষর চালু হলে স্বাক্ষর অস্বীকার করার সুযোগ থাকবে না; কারণ যিনি স্বাক্ষর করবেন তিনি তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে তার স্বাক্ষরটি প্রদান করবেন।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির (পল্লব) বলেন, অফিস-আদালতের অনলাইন কার্যক্রমে ই-সিগনেচার প্রদানের বিষয়ে বিধান থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। ই-সিগনেচার বাস্তবায়ন হলে অপরাধ অনেকাংশে কমে যাবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।

এফএইচ/বিএ/জিকেএস

Read Entire Article