অফিসে দীর্ঘ সময়ে এসির মধ্যে থাকতে হয়। এসি থেকে বের হওয়ার পর বাইরের গরমে ঘাম হয়ে শরীর ভিজে যায়। এতে করে সর্দি- কাশি, গলা খুসখুস করার মতো সমস্যা হতে পারে। এমন অবস্থায় গার্গল বা গরগর করেও স্বস্তি পাওয়া যায় না।
এ ধরনের সমস্যায় শুধু গার্গল বা করে কিংবা গরম পানি খেলে চলবে না। স্বস্তির জন্য প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে হবে। ঘরোয়া কিছু উপাদান শ্বাসনালী পরিষ্কার করার জন্য বেশ কার্যকর, এতে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সহজ হয়। কাশিও কমে যায়।
আসুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া উপায় কাশি দূর করবেন যেভাবে-
যষ্টিমধু
গলা খুসখুস, কাশি কিংবা গলার অন্য কোনো সমস্যাতে যষ্টিমধু বেশ ভালো কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান গলায় ভাইরাস, ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সমস্যার বিরুদ্ধে কাজ করে। এছাড়া নিয়মিত যষ্টিমধু খেলে গলা এবং শ্বাসনালী পরিষ্কার হয়।
লবঙ্গ
যুগ যুগ ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় লবঙ্গের ব্যবহার হয়ে আসছে। সর্দি-কাশি, কফ, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্টের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে মুখের মধ্যে লবঙ্গ রেখে এর রস গিলে ফেলুন। এতে গলা ব্যথা কমে যাবে।
আদা
গলা খুসখুস দূর করার অন্যতম ওষুধ হলো আদা। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি কাশির সমস্যা কমিয়ে দেয়। এছাড়া মধু সঙ্গে আদার রস খেলে কাশি দ্রুত দূর হয়। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক কাপ আদা চা খেলে স্বস্তি পাওয়া যাবে।
দুধের সঙ্গে হলুদের মিশ্রণ
হলুদ মিশ্রিত দুধ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। হলুদে রয়েছে কারকিউমিন নামের পদার্থ, যা গলা ব্যথা ও গলা খুসখুসে ভাব দূর করতে পারে। এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারেন।
তুলসি পাতা
সর্দি-কাশির ঘরোয়া দাওয়াই হিসেবে তুলসির ব্যবহার বহু প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। বুকে সংক্রমণ থেকে অ্যালার্জিজনিত যে কোনো দূর করতে পারে। এছাড়া মধুর সঙ্গে তুলসি পাতার রস মিশিয়ে খেলে বেশ ভালো উপকার পাবেন।
মধু
কাশি উপশমে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে মধুর জুড়ি নেই। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরির মতো উপাদান গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ মধু, অর্ধেক লেবুর রস আর সামান্য আদার রস মিশিয়ে প্রতিদিন দুইবার খেলে কফ ও গলা ব্যথা উপশমে সাহায্য করবে।
সূত্র: হেলথ লাইন, টাইমস অব ইন্ডিয়া
এসএকেওয়াই/এএমপি/এএসএম