অবশেষে ফাইনালে ঢাকা মেট্রো
গ্রুপ পর্বে অপরাজিত ছিল ঢাকা মেট্রো। প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুরের কাছে হেরে অপেক্ষা বেড়েছিল তাদের। অন্যদিকে খুলনা দলে যোগ দিয়েছিলেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। তবে মোস্তাফিজ এসেও তেমন কোনো লাভ হয়নি খুলনার। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আর ভুল করেনি ঢাকা মেট্রো। খুলনাকে স্রেফ উড়িয়ে দিল মোহাম্মদ নাঈম শেখের নেতৃত্বাধীন দলটি। অল্প পুঁজি নিয়েও বড় জয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে তারা। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুরের মুখোমুখি হবে তারা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ৮ উইকেটে ১১৯ রান তোলে ঢাকা মেট্রো। প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকে দিয়েও ব্যাটিং ধসে ৮১ রানে গুটিয়ে গেছে খুলনা। ৩৮ রানের জয় পায় ঢাকা মেট্রো। দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন রাকিবুল হাসান। ব্যাট হাতে ঢাকা মেট্রোর হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক নাঈম শেখ।
ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পেয়েছিল ঢাকা মেট্রো। ২৭ বলের উদ্বোধনী জুটিতেই ৪০ রান পায় তারা। মাসুম খান টুটুলের শিকার হন ওপেনার ইমরানুজ্জামান। কিছুক্ষণ পরই বল হাতে জোড়া আঘাত হানেন খুলনার পেসার শেখ পারভেজ জীবন। ষষ্ঠ ওভারে শামসুর রহমান ও মার্শাল আইয়ুবকে ফেরান তিনি। এরপর মিডল অর্ডার ভেঙে যায় ঢাকা মেট্রোর। একপাশ আগলে রেখেছিলেন অধিনায়ক নাঈম শেখ। খুলনার পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের শিকার হয়ে ফেরেন নাঈম। শেষ দিকে শহিদুলকে সঙ্গী করে দলকে লড়াইয়ের পথে টেনে নেন তিনি।
প্রতিপক্ষকে সহজে আটকে দেওয়ার পর খুলনার শুরুতেই বিপর্যয়। কোনো রান না হতেই নেই দুই ব্যাটার। নিজের প্রথম ওভারেই টপ অর্ডার ভেঙে দেন ঢাকা মেট্রোর স্পিনার রাকিবুল। ছন্দে থাকা ওপেনার আজিজুল হাকিমকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন এই স্পিনার। পরের ওভারে এসে স্পিনার আলিস আল ইসলামও তুলে নেন আরেক উইকেট। ভেঙে যায় খুলনার ব্যাটিং স্তম্ভ। মাঝখানে আরও চেপে ধরেন স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। কদিন আগেই শ্রীলঙ্কায় টি-টেন লিগ খেলে এসেছিলেন তিনি। ফিরেই দলে যোগ দিয়ে অভিজ্ঞতার ছাপ রাখেন তিনি। খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ২২ রান করে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। যদিও দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে আর এই রান ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কোনো কাজেই লাগেনি। সহজ ম্যাচটা হেরে আসর থেকে বিদায় নিতে হলো তাদের।