অবৈধ খনিতে ৭৮ মরদেহ, সমালোচনার মুখে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার

3 hours ago 5

অবৈধ খনি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার। স্টিলফন্টেইন খনিতে আটকা পড়া কয়েকশ শ্রমিকের খাবার ও পানির সরবরাহ বন্ধ করার পর অন্তত ৭৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্ধারকর্মীরা অভিযান চালিয়ে ১৬৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে আরও ১০০র বেশি শ্রমিকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে, যাদের অনাহার ও পানিশূন্যতার কারণে প্রাণ গেছে।

স্টিলফন্টেইন খনিতে আটকে থাকা শ্রমিকদের বেশিরভাগই দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আসা অনিবন্ধিত শ্রমিক। দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (এসএএফটিইউ) এটিকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যা দিয়েছে।

আরও পড়ুন>>

এসএএফটিইউ’র এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই শ্রমিকরা ছিল অসহায় এবং অনিবন্ধিত। অথচ সরকারের অবহেলার কারণে তাদের এমন অমানবিক পরিস্থিতিতে ফেলে রাখা হয়েছে। এটি আমাদের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা।

সরকারের কঠোর নীতির সমালোচনা করে ইউনিয়ন জানায়, অবৈধ খনির কারণে শ্রমিকদের এমন নির্মমভাবে মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। এটি সরকারের অমানবিক সিদ্ধান্তের উদাহরণ।

সরকারের কঠোর অবস্থান

পুলিশ জানিয়েছে, অবৈধ খনি কার্যক্রম বন্ধে শ্রমিকদের খাবার ও পানি সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছিল। তবে এই নীতি মর্মান্তিক পরিণতি ডেকে এনেছে।

প্রতি বছর অবৈধ খনির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়। এ কারণে সেটি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার।

তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, সরকারের উচিত ছিল মানবিক দিক বিবেচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া।

দেশটিতে প্রায় এক লাখ শ্রমিক অবৈধ খনির সঙ্গে যুক্ত, যারা ‘জামা জামা’ নামে পরিচিত। এই খাতে সহিংস গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং কালোবাজারে সোনার ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।

কেএএ/

Read Entire Article