ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে সফর করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তিনি কিয়েভে পা রাখেন। তার এই সফরের মধ্যেই কিয়েভে বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠেছে এবং ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কিয়েভের কর্মকর্তারা বলেছেন যে, বিমান বাহিনী শত্রুদের ড্রোন হামলার বিষয়ে সতর্ক করার পর শহরের কেন্দ্রস্থলে শত্রুদের লক্ষ্যবস্তু প্রতিহত করতে কাজ করছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। কিয়েভ থেকে এএফপির সাংবাদিকরা জানিয়েছেন তারা একটি ড্রোন উড়ে যেতে দেখেছেন।
এর আগে রাশিয়ার এঙ্গেলস শহরে সামরিক বিমানঘাঁটির তেলের ডিপোয় হামলা চালায় ইউক্রেন। সেসময় আগুন নেভাতে গিয়ে দুই দমকলকর্মীর মৃত্যু হয়। গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) উভয় পক্ষই একে অপরের বিদ্যুৎ ও সামরিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত জায়গায় হামলার দাবি করেছে। রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের ঝাপোরিঝিয়াতে ১৩ জন নিহত হয়।
গত মাসের শেষদিকে রাশিয়ার ওরিওল অঞ্চলে দূরপাল্লার শাহেদ ড্রোনের একটি সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ ডিপোতে হামলা চালানোর দাবি করে ইউক্রেন। সে সময় ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, এই হামলা রাশিয়ার জন্য ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বৃহৎ আকারের ড্রোন হামলা পরিচালনার সক্ষমতা ‘গুরুতরভাবে কমিয়ে’ দিয়েছে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানায়, দেশটির বিমান বাহিনী এই হামলা চালিয়েছে। এই হামলার ফলে শাহেদ কামিকাজে ড্রোনের সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতের জন্য ব্যবহৃত সুরক্ষিত কংক্রিট কাঠামোতে একটি ডিপো ধ্বংস হয়ে গেছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সামরিক অভিযানে শত্রুপক্ষের বিমান হামলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এটি ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর রাশিয়ার ড্রোন হামলা চালানোর ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে।
- আরও পড়ুন:
- হারানো ভূমি পুনরুদ্ধারের আশা ছেড়ে দিয়েছেন জেলেনস্কি
- যুদ্ধে ইউক্রেনের ৪৩ হাজার সেনা নিহত, স্বীকার করলেন জেলেনস্কি
গত কয়েক মাসে মস্কো প্রায় প্রতিদিন শতাধিক ড্রোন হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের অবকাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। রাশিয়া গত প্রায় ৩৫ মাস ধরে ইউক্রেনে নিয়মিতভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে।
টিটিএন