নির্দেশিকা ও বিধিমালা না মেনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এ নির্দেশনা দিয়ে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব ও সিনিয়র সচিবকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারকে বিব্রত করে ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হানিকর- এমন স্ট্যাটাস দিচ্ছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পর আন্তঃক্যাডার দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করে। প্রশাসন ক্যাডার ও ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা মুখোমুখি অবস্থান নেন। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এক পক্ষ আরেক পক্ষকে কটাক্ষ করে স্ট্যাটাস দিতে থাকেন। এরই মধ্যে কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
- আরও পড়ুন
জুলাই অভ্যুত্থানের ৮৩৪ জন শহীদের গেজেট প্রকাশ
ওষুধ-পোশাকসহ নিত্যপণ্যের ভ্যাট রিভিউ হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯’ অনুযায়ী পরিহারযোগ্য বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট দিচ্ছেন। তারা বিভিন্ন ডকুমেন্টস শেয়ার করছেন এবং ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সরকারকে বিব্রত করে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। যা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সার্ভিস রুলস পরিপন্থি ও অগ্রহণযোগ্য আচরণ।
‘দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। অনেক ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হানিকর এবং সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী অসদাচরণের পর্যায়ভুক্ত অপরাধ।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ ধরনের বিভিন্ন ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হওয়ায় রেগুলেটরি মন্ত্রণালয় হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এরই মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকার সুষ্ঠু ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। একই সঙ্গে এ ধরনের প্রতিটি ব্যত্যয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯’ এবং ‘সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা, ২০১৮’ অনুসারে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।
আরএমএম/কেএসআর