ডিসেম্বর প্রান্তিকে অর্থনীতির ধারাবাহিক পুনরুদ্ধার হলেও মূল্যস্ফীতিসহ বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে রাজস্ব সংগ্রহের গতি কমা, সরকারি ব্যয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ কমা, বিনিয়োগ পরিস্থিতি কমে যাওয়া এবং ব্যাংকিং খাতের ওপর মানুষের আস্থা ফেরানো উল্লেখযোগ্য।
যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে ও মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছে। আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নীতির কারণে পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হবে।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) সম্প্রতি প্রকাশিত চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে এ চিত্র উঠে এসেছে।
- আরও পড়ুন
- ২৩ দিনেই রেমিট্যান্স ছাড়ালো ২ বিলিয়ন ডলার
- শুধু ভ্যাটের ওপর নির্ভর করলে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়বে
এমসিসিআই বলছে, গত বছরের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে শুরু হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে দেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বেড়েছে রপ্তানির সঙ্গে প্রবাসী আয়ও। তবে মূল্যস্ফীতিসহ আরও কিছু চাপ রয়ে গেছে।
এমসিসিআইয়ের অর্থনীতির পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল হয়েছে। যেখানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভের পতন শুরু হয়েছিল, সেটি থামানো গেছে। দেশীয় মুদ্রার দরপতনও থেমেছে। পাশাপাশি চলতি হিসাবের ঘাটতির উন্নতি হয়েছে। তবে কিছু অনিশ্চয়তা এখনো রয়ে গেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ সময়ে প্রবাসী আয়ে ২৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং রপ্তানিতে ১০ দশমিক ৯৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ৩৪৭ কোটি মার্কিন ডলার ঘাটতি কাটিয়ে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত দেখা গেছে। অর্থাৎ রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বাড়ছে, আবার আগের মতো আমদানি হচ্ছে না শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনি যন্ত্রপাতি।
এসব কারণে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে কমেছে বাণিজ্য ঘাটতিও। জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি ৯৭৬ কোটি এবং চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত ছিল ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
ইএআর/এমকেআর/এএসএম