অর্শদীপকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ক্ষমা চাইলেন কামরান আকমল

3 months ago 39

চরম উত্তেজনাকর ভারত-পাকিস্তান চলাকালীন সময়ে অর্শদীপ সিংকে নিয়ে বিতর্কিত একটি মন্তব্য করেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার কামরান আকমল। তার জবাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় সাবেক স্পিনার হরভজন সিং।

হরভজনের দাবি, কামরানের মন্তব্যটি যথাযথ হয়নি। এটি একজন ক্রিকেটারের জন্য অসম্মানজনক এবং শিখ ধর্মের প্রতি অবমাননার শামিল। অবশেষে সেই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন কামরান।

কী বলেছিলেন কামরান?

ভারত-পাকিস্তার ম্যাচের দিন এআরওয়াই নিউজের প্যানেল আলোচনায় ছিলেন কামরান। পাকিস্তানের ইনিংসের শেষ ওভারে বল করতে আসছিলেন ভারতীয় পেসার অর্শদীপ সিং। সে সময় মন্তব্যটি করেন কামরান। তিনি বলেন, ‘এখন যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে। কারণ ১২ টা বেজে গেছে।’

কামরানের এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্সে’ একটি পোস্ট করেন হরভজন। সেই পোস্টে হরভজন লেখেন, ‘নোংরা মুখ খোলার আগে শিখদের ইতিহাস জেনে নেওয়া উচিত। আমরা শিখরা আপনার মা-বোনদের রক্ষা করেছি। যখন তারা হানাদারদের দ্বারা অপহৃত হয়েছিল। সময়টি ছিল প্রায় ১২টা। লজ্জিত... কিছু কৃতজ্ঞতা থাকার দরকার আছে।’

পরে সেই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে ‘এক্সে' পোস্ট করেন কামরান। পাকিস্তানের সাবেক এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার লেখেন, ‘আমি আমার সাম্প্রতিক মন্তব্যের জন্য গভীরভাবে দুঃখিত এবং হরভজন সিং এবং শিখ সম্প্রদায়ের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আমার কথাগুলো অনুপযুক্ত এবং অসম্মানজনক ছিল। সারা বিশ্বের শিখদের প্রতি আমার পরম শ্রদ্ধা রয়েছে এবং আমি কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্য করিনি। আমি সত্যিই দুঃখিত। #ক্ষমা#।’

I deeply regret my recent comments and sincerely apologize to @harbhajan_singh and the Sikh community. My words were inappropriate and disrespectful. I have the utmost respect for Sikhs all over the world and never intended to hurt anyone. I am truly sorry. #Respect #Apology

— Kamran Akmal (@KamiAkmal23) June 10, 2024

উল্লেখ্য, অর্শদীপ সিং আর হরভজন সিং ধর্মীয় দিক থেকে শিখ ধর্মের অনুসারী। যে কারণেই মূলত, অর্শদীপকে লক্ষ্য করা বক্তব্যে কথা বলেছেন তিনি।

ইতিহাসে বলা আছে, ভারতে মোঘল শাসনের সময় শিখদের উপর অত্যাচার নিপীড়ন চালানো হতো। শিখরা যেহেতু শক্তির তুলনায় দুর্বল এবং তাদের লোকসংখ্যা কম ছিল, সেহেতু বৃহৎ শক্তির সম্মুখ যুদ্ধে পেরে উঠতে পারতো না। এজন্য তারা কৌশল হিসেবে গুপ্ত আক্রমণকে বেছে নিয়েছিল। অর্থাৎ প্রতিপক্ষ দল যখন বিশ্রামে থাকবে বা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকবে না, তখনি তারা আক্রমণ করা হবে। আর এই আক্রমণের সময়টা মূলত ১২টা।

এমএইচ/জেআইএম

Read Entire Article