দেশে বিচ্ছিন্নভাবে ম্যারাথন আয়োজন হয়ে থাকে। তবে এই প্রথম বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) ম্যারাথন আয়োজন করতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ২০ ডিসেম্বর রূপগঞ্জের জলসিঁড়ি আবাসিক এলাকায় হবে এই ম্যারাথন। ভেটেরান এবং সাধারণ বিভাগে ভাগ হয়ে এতে অংশ নেবেন প্রায় ৫ হাজার নারী-পুরুষ। ম্যারাথনের সব ক্যাটাগরি মিলিয়ে ৭২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে বিওএ।
বিওএ ম্যারাথনে প্রতিযোগিতা হবে দুটি- ১০ কিলোমিটার রেস ও হাফ ম্যারাথন (২১.১০) কিলোমিটার। ৫০ বছরের বেশি বয়স্ক ব্যক্তিরা ভেটেরান ক্যাটাগরিতে দৌড়াবেন। যারা পেশাদার এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তারা এলিট বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। ১৮-৫০ বছর পর্যন্ত সাধারণ একটি ক্যাটাগরি রয়েছে।
ক্যাটাগরি ভিত্তিতে প্রথম স্থান অর্জনকারী দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আর্থিক পুরস্কার পাবেন। ২০তম হয়েও ২০ হাজার টাকা পাওয়ার সুযোগ আছে। বাংলাদেশের ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর আয়োজনে সাধারণত এত আর্থিক পুরস্কার থাকে না।
বিওএ ম্যারাথন ব্যতিক্রম হওয়ার কারণ সম্পর্কে সহ-সভাপতি ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ মামুন বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বিওএ ম্যারাথনকে আকর্ষণীয় করতে এমন পুরস্কার। এবার খুব স্বল্প সময়ে দ্রুত আয়োজন হচ্ছে। পরবর্তীতে আরও বড় পরিসরে বিদেশিদের অংশগ্রহণে আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।’
অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি হয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ জামান। ১৬ নভেম্বর বিওএতে অনুষ্ঠিত তার সভাপতিত্বে প্রথম সভায় ম্যারাথন আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।
বিওএ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘সভাপতি মহোদয়ের নির্দেশনায় বিওএ প্রথমবার ম্যারাথন আয়োজন করছে। সাধারণ জনগণের শরীর চর্চা ও সুস্থ জীবনযাপনের লক্ষ্যে এই আয়োজন। বিওএ’র বছরে অন্তত দু’বার এই ম্যারাথন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।’
আরআই/আইএইচএস/