অসুস্থ বাবাকে দেখতে গিয়ে ভাই-স্বামীসহ প্রাণ হারালেন বকুলা বেগম

14 hours ago 2

নেত্রকোনা সদরের সাতবেড়িকান্দা এলাকার বাসিন্দা আবদুর রশিদ (৬০)। তার শ্বশুর অসুস্থ হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। তাকে দেখতে স্বজনদের নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। তবে অসুস্থ শ্বশুরকে আর দেখা হয়নি। নিজেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে আবদুর রশিদও রয়েছেন। নিহত অন্যরা হলেন তার স্ত্রী বকুলা বেগম (৫৬), বকুলার ছোট ভাই বিদ্যা মিয়া (৩৭) ও পুত্রবধূ লাবনী আক্তার।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কে ময়মনসিংহ সদরের গাছতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে দুজন ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সকাল পৌনে ৮টার দিকে সদরের গাছতলা এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বালুবোঝাই ট্রাকের। অটোরিকশায় চালকসহ ছয়জন ছিলেন। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। বাকিদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আরও দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

অসুস্থ বাবাকে দেখতে গিয়ে ভাই-স্বামীসহ প্রাণ হারালেন বকুলা বেগম

আবদুর রশিদের ছেলে হৃদয় মিয়া বলেন, ‘নানা অসুস্থ থাকায় মা-বাবা, মামা, মামি ও তাদের পুত্রবধূ দেখতে যাচ্ছিলেন। সকালে আমিই তাদের অটোরিকশায় তুলে দিয়েছিলেন। পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।’

আহাজারি করতে করতে মেয়ে জোসনা বেগম বলেন, ‘অসুস্থ নানাকে দেখতে গিয়ে আমাদের সব শেষ হয়ে গেলো। আমার মা-বাবা, মামাসহ চারজন মারা গেছেন। এখন আমরা কী করবো? এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই।’

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ শ্যামগঞ্জ হাইওয়ে ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তোফায়েল ইসলাম বলেন, মরদেহগুলো স্বজনরা নিয়ে যেতে আবেদন করেছেন। নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এইচ এম কামাল/এসআর/জিকেএস

Read Entire Article