অসুস্থ মায়ের খোঁজ রাখেন না পপি

2 months ago 6

দীর্ঘদিন ধরেই পর্দায় অনুপস্থিত ঢালিউড অভিনেত্রী সাদিকা পারভিন পপি। এক সময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকা এখন সংবাদে আসেন ব্যক্তিগত জীবন এবং পারিবারিক দ্বন্দ্বের খবরে। চলতি বছরের শুরুতে পপির বিরুদ্ধে বাবার সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগে থানায় জিডি করেন তার বোন ফিরোজা পারভীন।

সে ঘটনার পরই মুখ খুলে পরিবার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন পপি। দীর্ঘদিনের আড়াল জীবন ছেড়ে প্রকাশ্যে এসেছিলেন।

তবে এবার আলোচনায় উঠে এসেছে অসুস্থ মাকে অবহেলার অভিযোগ। পপির মা মরিয়ম বেগম দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছেন বলে জানা গেছে। গত ২১ জুন তাকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান মেয়ে পারভীনা। হাসপাতালে শুয়েই মেয়ের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ আনলেন পপির মা। তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানান, অসুস্থ মায়ের খোঁজ রাখেন না পপি।

চিকিৎসাকালীন সময়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পারভীনা বলেন, ‘মা দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। মানসিক চিন্তা-ভাবনার কারণে শারীরিক অবস্থাও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ডাক্তার রক্ত পরীক্ষা দিয়েছেন, সেটা করাতেই এসেছি।’

‘সবই তো আপনারা জানেন। পপি বেআইনিভাবে পারিবারিক সম্পত্তি নিজের নামে করে নিয়েছে। এমনকি খুলনায় গিয়ে ঝামেলাও করেছে। ওর সঙ্গে বহুদিন ধরে কোনো যোগাযোগ নেই। এসব চিন্তাই মার অসুস্থতার বড় কারণ’- যোগ করেন পপির ছোট বোন।

পপির মা মরিয়ম বেগমও মেয়ের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে বলেন, ‘পপি আমাদের কোনো খোঁজ নেয় না। বহু বছর ধরে আমার কোনো ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেয়নি। যদিও তাতে আমার আফসোস নেই। কিন্তু অন্যায়ভাবে ভাই-বোনদের জমি নিজের নামে করে নিয়েছে- এটা মেনে নেওয়া যায় না।’

এর আগে এক সাক্ষাৎকারে পপি এই অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছিলেন। অভিনেত্রীর ভাষ্য,
‘সিনেমা করে আমি যা আয় করেছি, তার বেশিরভাগই মা-বাবা ও ভাই-বোনদের জন্য খরচ করেছি। অথচ তারাই আমার কষ্টার্জিত অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এমনকি আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। একটা সময় এমনও এসেছে, আমার শরীর ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট ছিল না।’

নিজেকে বাঁচানোর জন্য আদনান কামালকে বিয়ে করেন বলে জানান পপি। তার ভাষায়, ‘আমার খারাপ সময়ে ও-ই ছিল শেষ আশ্রয়। কিন্তু সেই সংসারেও আমার পরিবার অশান্তি তৈরি করেছে।’

১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবরের ‘কুলি’ ছায়াছবিতে ওমর সানির বিপরীতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন সাদিকা পারভীন পপি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে অন্যতম আবেদনময়ী এই অভিনেত্রী এ পর্যন্ত ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘কি যাদু করিলা’, ‘গঙ্গাযাত্রা’ ছবিতে অভিনয়ের করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুস্কাররে ভূষিত হয়েছেন।

এলআইএ/জেআইএম

Read Entire Article