আওয়ামী লীগ ক্রীড়াঙ্গনকেও দলীয়করণ করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী সিটি ক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে ‘শহীদ জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট কায়দায় বাংলাদেশ শাসন করে সব প্রতিষ্ঠানকে নষ্ট করে দিয়েছে… ক্রীড়াঙ্গন তার একটা বড় উদাহরণ। এই ক্রীড়াঙ্গনকে কোনো দিন এর আগে কখনোই দলীয়করণ করা হয়নি… তারা এটাকেও দলীয়করণ করেছিল। যার ফলে আমরা পত্র-পত্রিকায় দেখেছি, যেসব ভালো ও ট্যালেন্টেড খেলোয়াড়রা ছিল তারা বাংলাদেশে সুযোগ পায়নি। আমি আজকে রাজনীতির কথা বলব না। আমাদের নতুন যে যাত্রা শুরু হয়েছে এ যাত্রায় আমাদের ক্রীড়াঙ্গনে আমাদের সবচেয়ে বেশি দরকার একটা অরাজনৈতিক ঐক্য এবং মেধার চর্চা সবচেয়ে বেশি দরকার… সে সুযোগে সবচেয়ে ভালো খেলোয়াড় বেরিয়ে আসে। এমতাবস্থায় দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে ‘অরাজনৈতিক ঐক্য’ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের এই দেশের তরুণ যুবকেরা, মানুষেরা ক্রিকেটের ভক্ত হয়েছে ইদানিংকালে। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন ফুটবল ছিল জনগণের প্রিয় খেলা। আমাদের আজকে যিনি সভাপতিত্ব (আমিনুল হক) করছেন তিনি একজন জাতীয় দলের ফুটবলার, অধিনায়ক ছিলেন। আমি মনে করি একজন খেলোয়াড় যিনি রাজনীতিতে এসেছে এতে রাজনীতি সমৃদ্ধ হবে। কারণ খেলোয়াড়রা যদি রাজনীতিতে যুক্ত থাকেন তাহলে সমাজ উপকৃত হয়। খেলোয়াড়দের মন হয় উদার, মাদক নির্মূলসহ সামাজিক কাজে তাদের ভূমিকা অনেক বড়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যও এটি… মাদকপথ পরিহার করে যুব ও তরুণ সমাজ খেলাধুলায় মনোযোগী হবে।
ক্রীড়াঙ্গনে জিয়া পরিবারের অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, আরাফাত রহমান কোকোর বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে বড় ভূমিকা ছিল। দেশের ক্রিকেটে যে উৎকর্ষতা সাধিত হয়েছে তার ভিত্তি কোকোর হাত ধরেই হয়েছে।
বেলুন ও এক ঝাঁক সাদা কবুতর উড়িয়ে এই ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি প্রথম খেলার দল ‘দক্ষিণ খান থানা ও পল্লবী থানা’র খেলোয়াড়দের সাথে পরিচিত হন। উদ্বোধনী খেলায় পল্লবী ও দক্ষিণখান থানার মধ্যে গোলশূন্য ড্র হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক ও টুর্নামেন্ট প্রধান সমন্বয়ক আক্তার হোসেন ও টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, আতাউর রহমান (চেয়ারম্যান), গাজী রেজওয়ানুল হোসেন রিয়াজ, তুহিরুল ইসলাম তুহিন, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, আফাজ উদ্দিন, মো. ইউসুফ, শাহ আলম, মাহাবুবুল আলম মন্টু, সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, সদস্য আলী আকবর আলী, সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, মোতালেব হোসেন রতন, রফিকুল ইসলাম খান, এমএস আহমাদ আলী, ইব্রাহিম খলিল, তাসলিমা রিতা প্রমুখ।