আ.লীগ-জাতীয় পার্টির সঙ্গে কোনো সমঝোতা মানব না : রাশেদ খাঁন

2 weeks ago 17

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেছেন, গণহত্যাকারী দল আ.লীগ ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে কোনো সমঝোতা মানব না।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, হানাহানিমুক্ত সম্প্রীতির বাংলাদেশ গঠন ও রাষ্ট্র সংস্কারে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। গণঅধিকার পরিষদ, কক্সবাজার জেলা আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 

এসময় রাশেদ খাঁন বলেন, আমাদের স্পষ্ট কথা, শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। এখনো শেখ পরিবার ও আওয়ামী হাইকমান্ডের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তার মানে কি এখানে কোনো সমঝোতা হয়েছে?  আমরা গণহত্যাকারী দল আ.লীগ ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে কোনো সমঝোতা মানব না। আগামী নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না। অবশ্যই তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে। জাপাকে ’৯১-তে সুযোগ দেওয়ার খেসারত আজও দিতে হচ্ছে। আ.লীগকে এবার সুযোগ দিয়ে এই খেসারত আর দিতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, আগামী ১ মাসের মধ্যে কক্সবাজারকে মাদকমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। কক্সবাজারের মানুষ আমার কাছে অভিযোগ করেছে, এখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নাই। ডিসি-এসপি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারছে না। এখনো আ.লীগের প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। যারা এখানে গুম খুনের নির্দেশদাতা, তারা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।

এ ছাড়া তিনি বলেন, এই কক্সবাজারে ওসি প্রদীপের তাণ্ডব আমরা দেখেছি। ২০০ এর অধিক মানুষকে সে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা করেছে। কিন্তু কাদের নির্দেশে তিনি হত্যা করলেন? তাদেরকে কি বিচারের আওতায় আনা হয়েছে? এখানে মেজর সিনহা হত্যার শিকার হয়েছে। তখন কোনো গণমাধ্যম নিউজ করেনি। আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ করেছি। এরপর আলোচনায় আসে, ওসি প্রদীপ আটক হয়।
 
রাশেদ খাঁন বলেন, মায়ানমার থেকে টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা আসে। এতে বিজিবির হাত থাকার অভিযোগ আছে। টেকনাফ সীমান্তে সিসি ক্যামেরা বসাতে না পারলে এগুলো ধরা যাবে না। আমরা চাই না টেকনাফে আর কোনো বদির জন্ম হোক। বদির সাম্রাজ্য ভেঙেচুরে খানখান করতে হবে। এই কক্সবাজারের মানুষ অত্যন্ত সহজসরল। এখানে মহান আল্লাহর রহমত রয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডার এই কক্সবাজার। এই জেলাকে মডেল জেলা হবে হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর কোনো গুম খুন এখানে হতে দেওয়া যাবেনা।

এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন- উচ্চতর পরিষদ সদস্য শহীদুল ইসলাম ফাহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুন্নাহার ডলি, সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম) লোকমান হোসাইন, কেন্দ্রীয় পার্বত্যবিষয়ক সম্পাদক আবদুল কাদের প্রাইম, অ্যাড. মো. নাজিম উদ্দীন, সভাপতি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ , গণঅধিকার পরিষদ, মো. শাহ্ আলম, সভাপতি, চট্টগ্রাম মহানগর, গণ অধিকার পরিষদ, ডাক্তার ইমদাদুল হাসান, আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা, রোরহান উদ্দিন, আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা, মোরশেদ আলী, সদস্য সচিব, কক্সবাজার জেলা, নাজমুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মো. হেলাল উদ্দিন, আহ্বায়ক, কক্সবাজার জেলা, সদস্য সচিব মোরশেদ আলী, কক্সবাজার জেলা। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার জেলার সিনি. যুগ্ম আহ্বায়ক ফকরুল আলমসহ স্থানীয় নেতারা।

Read Entire Article