বাগেরহাটের মোংলায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছেন এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী। আওয়ামী সরকারের পতনের পরও এই নেতা এলাকায় বহাল তবিয়তে রয়েছেন। আওয়ামী সরকারের আমল থেকে চলে আসা তার অবৈধ মাদক ও জুয়ার কারবার ঠিক রাখতেই তিনি এখন নতুন দলে ভিড়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মতিয়ার রহমান মোড়ল উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ওই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য। তিনি কয়েক দশক ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
এদিকে ১৬ আগস্ট এনসিপির চাঁদপাই ইউনিয়ন সমন্বয় কমিটির অনুমোদন দেন এনসিপির উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী মৃধা মাজেদুল ইসলাম ও সহ-সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ মেরিন। আগামী ৬ মাসের জন্য এ কমিটির অনুমোদন দেন তারা। কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মো. আবু সিদ্দিক জোমাদ্দার, যুগ্ম সমন্বয়কারী মতিয়ার রহমান মোড়ল, মো. রাসেল শেখ, রবিউল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম সাগর, শামীম চৌকিদার ও সদস্য উত্থান বিশ্বাস, মো. আকরাম, জসিম শেখ, বিকু, মো. ফরিদ, মো. নোমান সাদিক, আখতার, মো. শহিদুল শেখ, গোলাম রাব্বি এবং মামুন হাওলাদার।
চিহ্নিত আওয়ামী নেতাকে এনসিপিতে পদ দেওয়ার বিষয়টি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন ছাড়া কিছুই নয় বলে মনে করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
পৌর বিএনপি নেতা এমরান হোসেন ও সফিকুল ইসলাম শান্ত বলেন, মতিয়ার রহমান মোড়ল একজন আওয়ামী লীগের নেতা। তাকে এনসিপিতে পদ দিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। আমরা এমন কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
- আরও পড়ুন-
- খোস গল্পের ছলে প্রবাসীর স্ত্রীর লাখ টাকা নিয়ে উধাও নারী
- শিক্ষা অফিসারের বদলির আদেশে মিষ্টি বিতরণ শিক্ষকদের
- দুদকের মামলায় কারাগারে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তা
উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কোহিনূর সরদার বলেন, যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে সেটি কোনোভাবে যুক্তিসম্মত নয়।
পৌর যুবদল নেতা বিএম ওয়াসিম আরমান বলেন, শুনেছি লাখ টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়ার রহমান মোড়ল এনসিপিতে পদ নিয়েছেন। মূলত টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগকে এখানে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
মতিয়ার রহমান মোড়ল বলেন, আমি এনসিপির কোনো কমিটিতে নেই। এ কথা বলেই ফোন কেটে দেন।
এনসিপির উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী মৃধা মাজেদুল ইসলাম বলেন, কোনো আওয়ামী লীগ নেতা আমাদের কমিটিতে থাকতে পারবে না। কেউ যদি কমিটিতে থেকে থাকে তাহলে তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কার করা হবে।
আবু হোসাইন সুমন/এফএ/এএসএম