জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের সিলেবাসে পরিবর্তন আনা জরুরি বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।
তিনি বলেন, কর্মমুখী শিক্ষার চর্চা শুরু করলে দেশ থেকে বাইরে যাওয়া বাংলাদেশি জনশক্তি অন্তত দ্বিগুণ রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন। এজন্য তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের সিলেবাসে সংস্কার আনা প্রয়োজন। এটা করতে পারলে আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স ১০০ বিলিয়ন ডলার বাড়বে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (আইএসটি) আয়োজিত নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক আমানুল্লাহ বলেন, সরকারি কোনো ধরনের সহযোগিতা ছাড়াই স্ব-উদ্যোগে দেশের ফ্রিল্যান্সাররা ফ্রিল্যান্সিংয়ে দেশকে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে উন্নীত করেছেন। পোশাকশিল্পের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তৈরি করেছেন ফ্রিল্যান্সররা। সম্ভাবনামনয় এ শিল্পে জতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সবদিক থেকে পাশে থাকবে।
তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইসিটির সিলেবাস সংস্কারের কাজ চলমান। এ লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিদেশি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডগুলোর সঙ্গে এরই মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাডেমিক আলোচনা শুরু করেছে।
বিষয়টির গুরুত্ব উল্লেখ করে উপাচার্য গত সপ্তাহে লন্ডনে ব্রিটিশ টেকনিক্যাল বোর্ডের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে এসেছেন বলেও উল্লেখ করেন। তাছাড়া তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বিভিন্ন ইনস্টিটিউট, ল ও বিএড কলেজে পড়াশোনার মান উন্নয়ন এবং মনিটরিং বাড়ানোর তাগিদ দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, গ্রিন ইউনির্ভাসিটির উপাচার্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শরীফ উদ্দিন।
সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যা ন্ড টেকনোলজির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. শাহিদা রফিক।
অনুষ্ঠানের সমাপনী পর্বে অতিথিরা সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার প্রজেক্ট এক্সিবিশন অ্যান্ড পোস্টার প্রেজেন্টেশনে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
এএএইচ/ইএ