ইলিশের মৌসুম প্রায় শেষ হতে চলছে, বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশও মিলছে। অথচ দামে লাগামছাড়া ঘোড়া ছুটছে উল্টোপথে। ছোট, মাঝারি ও বড়- তিন ধরনের ইলিশই প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে। তবুও সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।
বাজারে এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকায়। ৭০০–৯০০ গ্রামের ইলিশ মিলছে এক হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকা কেজি। এছাড়া প্রতিকেজি জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৬০০–৮০০ টাকায়।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাজীপাড়া, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, হাতিরপুল ও রামপুরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব বাজারে ইলিশের পাশাপাশি অন্যান্য মাছের দামও বেড়েছে।
প্রতিকেজি রুই ও কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৩৪০–৩৬০ টাকায়, শিং মাছ ৪০০–৫০০ টাকায়, পাবদা মিলছে ৫০০–৬০০ টাকায়। এছাড়া পাঙাশ, তেলাপিয়া ও সিলভার কার্প বিক্রি হচ্ছে ২২০–২৬০ টাকায়। ছোট মাছের মধ্যে কাজলি, ট্যাংরা, চিংড়ি ও বাচা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০–১২০০ টাকা প্রতিকেজি।
আরও পড়ুন
- চড়া বাজারে ক্রেতার আক্ষেপ, ‘ডিম-দুধ ছাড়তে হয়েছে দামের কারণে’
- কাঁকড়ায় খাওয়া-কাটা ইলিশে সাধ মেটাচ্ছে মধ্যবিত্তরা
হাতিরপুল কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী রুবেল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, এ বছর মাছ আসছে কম। জেলেরা সমুদ্রে মাছ পাচ্ছে না। ফলে সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম বেশি।
মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের বিক্রেতা শফিউজ্জামান বলেন, সবাই বড় ইলিশ খোঁজে, কিন্তু বড় ইলিশের আকাল। ছোট ও মাঝারি ইলিশ বাজারে ভরপুর।
আরেক বিক্রেতার দাবি, মৌসুম শেষের দিকে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও আকারভেদে কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে।
কাজীপাড়ার ফুটপাতের অস্থায়ী বাজার থেকে মাছ কিনছিলেন কলেজশিক্ষক নুরুল হাসান। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, মাছের ফিডের দাম কমলেও চাষের মাছের দাম বাড়তি। ২০০ টাকার নিচে কোনো মাছ নেই। সরকার চাইলে চাষের মাছের দাম নির্ধারণ করে দিতে পারে।
কথা হয় নির্মাণশ্রমিক স্বপন সরকারের সঙ্গে। জাগো নিউজকে স্বপন বলেন, ইলিশ এখন আর গরিবের নাগালের মধ্যে নেই। একটা মাঝারি সাইজের ইলিশ কিনতে গেলে দুই দিনের কামাই চলে যায়। তাই বাধ্য হয়ে জাটকা কিনি। কিন্তু জাটকা খেয়ে ইলিশের আসল স্বাদ মেলে না।
এসএম/কেএসআর/এমএস