আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার পরিকল্পনা হাথুরুর

1 month ago 16

সেই রাওয়ালপিন্ডিতেই দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান। যেখানে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ১০ উইকেটে হারিয়েছিলো পাকিস্তানকে।

এবার নিশ্চিত কৌশল বদলাচ্ছে পাকিস্তান। দলের সেরা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে বাদ দিয়ে দলে নেয়া হয়েছে স্পিনার আবরার আহমেদকে। উইকেট কেমন তৈরি করবে স্বাগতিকরা। এখনও নাকি অজানা বাংলাদেশের কাছে।

কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে জানিয়েছেন, তারা এখনও উইকেট দেখেননি। উইকেট দেখে হয়তো বাংলাদেশ দলেও পরিবর্তন আসতে পারে। আবার প্রথম টেস্টের সময় যে আবহাওয়া ছিল, সে তুলনায় দ্বিতীয় টেস্টের আবহাওয়া নাকি একটু ভিন্নও।

সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, প্রথম টেস্টের মত এত সহজ হবে না বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় টেস্ট। কোচ হাথুরুও মেনে নিচ্ছেন, আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী রুপ নিয়ে হাজির হবে পাকিস্তান।

দ্বিতীয় টেস্টের আগে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সেখানে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়েই খেলবে। ব্যাটিংয়ে প্রথম টেস্টের মানসিকতাই বজায় রাখা হবে। হাথুরুর কথাগুলোই পয়েন্ট আকারে সাজিয়ে দেয়া হলো...

প্রথম টেস্টে ৫০০ প্লাস রান হলো কিভাবে?

যদি মনে থাকে, আমরা আগে (দেশে) ফলাফল নির্ভর উইকেটে খেলেছি। ওসব পিচে আপনি ২৩০-২৫০-২৬০ রান করলেও জয়ের জন্য যথেষ্ট। যেটা নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে হয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনেকটা এমনই ছিল। যদিও আমরা তখন পরাজিত দলে ছিলাম।

তবে এবার পিচ অনেক ভালো ছিল। প্রথম ম্যাচে আমাদের অ্যাপ্লিকেশন, পরিকল্পনা কিছুটা ভিন্ন ছিল। আমরা উইকেটে সময় কাটানোতে জোর দিয়েছি। তাদের পেসারদের দ্বিতীয়-তৃতীয় স্পেলে আসতে বাধ্য করাতে চেয়েছি। আমার মতে, কন্ডিশনের কারণে মানসিকতা বদলে গিয়েছিল। খেলার অ্যাপ্রোচ, পরিকল্পনা সবকিছুই ভিন্ন ছিল। যে কারণে ব্যাট হাতে আমরা ভালো স্কোর করতে পেরেছি।

কয়েকটি জুটির ভালো অবদান

গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, শুরুতে ভালো জুটি গড়া। (প্রথম ইনিংসের প্রথম) ১২ ওভারে আমাদের ওপেনাররা অল্প সময় হলেও ভালো ব্যাটিং করেছে। যা তৃতীয় দিন সকালে আমাদের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। এরপর মুমিনুল ও সাদমান ভালো একটি জুটি গড়ল ৯০ রানের। মুশফিক, লিটন, মিরাজরা সেটি ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে।

দ্বিতীয় টেস্টে অফেন্সিভ না ডিফেন্সিভ হবে বাংলাদেশ দল?

আসলে আমরা সবসময় আক্রমণাত্মক পরিকল্পনাতেই যাব। কন্ডিশনের ওপর অনেক সময় পরিকল্পনায় পরিবর্তন আসে। প্রথম ম্যাচ থেকে আমাদের প্রস্তুতিতে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি।

আমরা নিজেদের শক্তির জায়গা, সীমাবদ্ধতা জানি। প্রতিপক্ষের শক্তি এবং সীমাবদ্ধতার জায়গাগুলোও জানা আছে আমাদের। পিচ, কন্ডিশন সবকিছু বিবেচনা করেই আমরা আমাদের কৌশলের ব্যাপারে চিন্তা করে থাকি।

দলের মোরাল এখন কতটা আছে?

দলে মোরাল অনেক উঁচুতে আছে। কারণ অবশ্যই পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেওয়া সহজ কোনো কাজ নয়। তারা অনেক ভালো দল। এখনও আমরা দ্বিতীয় ম্যাচে অনেক লড়াই আশা করছি। কন্ডিশনের ওপর নির্ভর করে, পিচ দেখে আমরা দলে পরিবর্তন আনতেও পারি। কারণ আমরা এখনও পিচ দেখতে পারিনি। আবহাওয়ায় কিছুটা তফাত আছে আগের ম্যাচ থেকে।

মুশতাক আহমেদের ভূমিকা

আমি আগেও বলেছিলাম, আমাদের স্কোয়াডে অনেক অভিজ্ঞতা যোগ করে মুশতাক। পিসিবির সঙ্গে এখানে কাজ করায় স্থানীয় অনেক জ্ঞান সে দিতে পারে। এসব ব্যাপারে সে ভালো সাহায্য করেছে আমাদের।

নাহিদ রানার বোলিং

আসলে এই দু’জন (নাহিদ ও সাদমান) বেশ তরুণ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিবেচনায় নিলে। নাহিদ রানা খুবই রোমাঞ্চকর প্রতিভা। কেবল বাংলাদেশ নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিবেচনা করেই বলছি। সে টানা ১৪০-১৫০ কিমি/ঘন্টা গতিতে বল করে যেতে পারে। খুবই তরুণ সে। তার সেরাটা এখনও বাকি। আশা করি তার কাছ থেকে আরও অনেক কিছু দেখতে পারব আমরা।

সাদমানের ব্যাটিং

সাদমান বাংলাদেশের হয়ে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছে। এখানে সুযোগ পাওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে অনেক অপেক্ষা করতে হয়েছে। দলের বাইরে ছিল ২ বছরের মত। মানসিকভাবে দারুণ শক্ত ছিল সে। দলে ফিরে এভাবে চাপের মুহূর্তে দারুণ একটি ইনিংস খেলেছে।

আইএইচএস/

Read Entire Article