আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো জোড় ইজতেমা

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী পুরানাদের জোড় ইজতেমা। লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে তুরাগপাড় রূপ নেয় মানবসমুদ্রে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ভোর থেকে ঢাকা, গাজীপুরসহ আশপাশের জেলা থেকে দলে দলে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে সমবেত হন।  এদিন সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে শুরু হয়ে ৯টা ১৩ মিনিটে শেষ হয় আখেরি মোনাজাত। পুরো মাঠজুড়ে সেই সময় সৃষ্টি হয় গভীর আধ্যাত্মিক পরিবেশ। ‘আমিন…আমিন’ ধ্বনিতে কম্পিত হয়ে ওঠে সমগ্র টঙ্গী। অনেকেই আবেগে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মোনাজাত পরিচালনা করেন পাকিস্তানের আলেম মাওলানা আহমেদ বাটলা। তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এবারের পুরানাদের জোড় ইজতেমায় ২৭টি দেশ থেকে ৭৩২ জন বিদেশি মেহমান অংশগ্রহণ করেছেন। পাকিস্তান, ভারত, সৌদি আরব, কানাডা, জাপান, মালয়েশিয়া, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, মিশরসহ বহু দেশের মুসল্লিদের অংশগ্রহণে ইজতেমা এলাকা মুখরিত ছিল। তিনি আরও জানান, জোড় ইজতেমা চলাকালে বিভিন্ন সময়ে ৬ জন মুসল্লি মারা গেছ

আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো জোড় ইজতেমা
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী পুরানাদের জোড় ইজতেমা। লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে তুরাগপাড় রূপ নেয় মানবসমুদ্রে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ভোর থেকে ঢাকা, গাজীপুরসহ আশপাশের জেলা থেকে দলে দলে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে সমবেত হন।  এদিন সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে শুরু হয়ে ৯টা ১৩ মিনিটে শেষ হয় আখেরি মোনাজাত। পুরো মাঠজুড়ে সেই সময় সৃষ্টি হয় গভীর আধ্যাত্মিক পরিবেশ। ‘আমিন…আমিন’ ধ্বনিতে কম্পিত হয়ে ওঠে সমগ্র টঙ্গী। অনেকেই আবেগে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মোনাজাত পরিচালনা করেন পাকিস্তানের আলেম মাওলানা আহমেদ বাটলা। তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এবারের পুরানাদের জোড় ইজতেমায় ২৭টি দেশ থেকে ৭৩২ জন বিদেশি মেহমান অংশগ্রহণ করেছেন। পাকিস্তান, ভারত, সৌদি আরব, কানাডা, জাপান, মালয়েশিয়া, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, মিশরসহ বহু দেশের মুসল্লিদের অংশগ্রহণে ইজতেমা এলাকা মুখরিত ছিল। তিনি আরও জানান, জোড় ইজতেমা চলাকালে বিভিন্ন সময়ে ৬ জন মুসল্লি মারা গেছেন। নিয়ম অনুযায়ী তাদের জানাজা সম্পন্ন করে মরদেহ নিজ নিজ এলাকায় পাঠানো হয়েছে। আখেরি মোনাজাত শেষে কয়েক হাজার চিল্লার জামাত ও তিন চিল্লার জামাত মাঠ থেকেই বের হয়ে যান আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি ২০২৬-এ অনুষ্ঠিতব্য খুরুযের জোড়ের প্রস্তুতির উদ্দেশ্যে। বাকি মুসল্লিরা মোকামি কাজ ও আনেওয়ালা জোড়ের মেহনত নিয়ে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যান। এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন শেষে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow