ঢাকা মহানগর উত্তরের সর্বাধিক ঈদ জামাত শেষে লক্ষাধিক মানুষের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলো ঈদ আনন্দ মিছিল। সোমবার সকাল ৯টায় বাণিজ্যমেলার পুরাতন মাঠ থেকেই শুরু হয় ঈদ আনন্দ মিছিল। ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক স্লোগানে মুখরিত পুরো আগারগাঁও এলাকা। বাদ্যযন্ত্রের বাজনা এবং ঘোড়ার গাড়ি, গরুর গাড়িসহ নানা রংবেরঙের সাজে সেজেছে এই মিছিল।
মিছিলটি বাণিজ্য মেলার মাঠ থেকে আগারগাঁওয়ের প্রধান সড়ক দিয়ে খামারবাড়ি মোড় হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে এসে শেষ হয়।
আনন্দ মিছিলে বাদ্যবাজনা বাজান ব্যান্ড পার্টি। অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল ঈদের শুভেচ্ছা ও সচেতনতার বার্তাসংবলিত প্ল্যাকার্ড।
আনন্দ মিছিলের অগ্রভাগে পাঁচটি সুসজ্জিত ঘোড়া রাখা হয়। মিছিলের সঙ্গে ছিল ১৫টি ঘোড়ার গাড়ি। পাশাপাশি মোগল ও সুলতানি আমলের ইতিহাস–সংবলিত ১০টি পাপেট শো রাখা হয়।
মিছিলে অংশগ্রহণকারী মনিপুরীপাড়া থেকে আসা আব্দুল জলিল বলেন, আমার বয়সে এমন মিছিল দেখিনি। তবে শুনেছি মোগল সালতানাতের আমলে এমন মিছিল হতো। সেই কৌতূহল থেকে এখানে ঈদের নামাজ পড়েছি এবং মিছিলে অংশ নিয়েছি। খুব ভালোই লাগছে ঈদটা আনন্দঘন হচ্ছে।
পুরান ঢাকা থেকে এসেছেন সাব্বির আহমদসহ তিন বন্ধু। তারাও বলছেন, ঐতিহ্যের মিছিলে অংশ নিতে এখানে ঈদের জামাত পড়তে এসেছি। মিছিলে অংশ নিলাম। বেশ আড়ম্বরপূর্ণ মিছিল। ভালো লাগছে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আপ্যায়ন
সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে মিছিল শেষে সেখানেই হচ্ছে সংক্ষিপ্ত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে শিল্পীরা ঈদের গান পরিবেশন করবেন। থাকবে বাউলশিল্পীদের পরিবেশনা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সময়ে সাধারণ মানুষদের আপ্যায়ন করা হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এ সময় ঈদের সেমাই, মিষ্টি ও বাতাসা খেতে পারবেন।
দুই দিনব্যাপী ঈদমেলা
ঢাকা উত্তর সিটির ঈদ আনন্দ উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ দুই দিনব্যাপী ঈদ আনন্দমেলা। ঈদের দিন ও এর পরদিন এ মেলা হবে বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে। মেলায় বিভিন্ন পণ্যের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ২০০টির বেশি স্টল থাকবে। দুই দিনই মেলা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেলায় শিশুদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলা থাকবে। খেলাধুলার জন্য রাখা হবে বিভিন্ন খেলার সামগ্রী।
এসইউজে/জেএইচ/এমএস