ভালোবাসার সপ্তাহের পঞ্চম দিনটি হচ্ছে প্রমিজ ডে। প্রমিজ ডে ভালোবাসার সপ্তাহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন, যা প্রতি বছর ১১ ফেব্রুয়ারি পালিত হয়। এই দিনে প্রেমিক-প্রেমিকারা, বন্ধু-বান্ধব, এমনকি পরিবারের সদস্যরাও একে অপরকে বিশেষ প্রতিশ্রুতি দেয়, যা সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে। তবে এই দিবসের সঠিক উৎপত্তি এবং ইতিহাস সম্পর্কে খুব বেশি প্রামাণ্য দলিল নেই।
প্রমিজ ডে শুধুপ্রেমিক-প্রেমিকার জন্যই নয়, বরং সব ধরনের সম্পর্কের মধ্যেই আস্থা ও প্রতিশ্রুতির গুরুত্ব বোঝায়। যদিও এটি পশ্চিমা উৎসব, তবুও সারাবিশ্বে এটি ভালোবাসা ও বন্ধনকে উদযাপনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।
এই প্রমিজ ডে মূলত পশ্চিমা দেশগুলোতে ভ্যালেন্টাইন্স উইক বা ভালোবাসার সপ্তাহের অংশ হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করে। প্রমিজ ডে-এর সঠিক সূচনার সময়কাল স্পষ্টভাবে জানা যায় না, তবে এটি মূলত ১৯৮০ বা ১৯৯০ সালের দিকে পশ্চিমা সংস্কৃতিতে জনপ্রিয় হতে শুরু করে।
২০০০ সালের পর থেকে এটি এশিয়ার দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও পাকিস্তানে জনপ্রিয়তা পায়। তবে এই দিনটি কে শুরু করেন তার কোনো নিশ্চিত তথ্য নেই। তবে এটি মার্কেটিং এবং সামাজিক সংস্কৃতির একটি অংশ হিসেবে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়।
বিভিন্ন কার্ড কোম্পানি, চকলেট ব্র্যান্ড, এবং ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি ভালোবাসার সপ্তাহের দিনগুলোর প্রচার শুরু করে, যাতে বিশেষ দিনে বিশেষ উপহার বিক্রি করা যায়। তবে ভালোবাসা শুরুর আগে প্রতিশ্রুতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রতিশ্রুতি সম্পর্কের ভিত্তি দৃঢ় করতে পারে।
এই দিনে মানুষ একে অপরকে প্রতিশ্রুতি দেয়, যা তাদের সম্পর্ককে দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করে। প্রতিশ্রুতি হতে পারে নিষ্ঠা ও আস্থার প্রতীক। বিশ্বাস ও প্রতিশ্রুতিই একটি সম্পর্কের মূল ভিত্তি। শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা নয়, পরিবারের অন্য সদস্যদের সব সময় পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন।
প্রিয়জনকে বিশেষ বার্তা বা চিঠির মাধ্যমে প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালোবাসার বার্তা শেয়ার করতে পারেন। বিশেষ উপহার, ফুল বা কার্ড দেওয়া কিংবা একসঙ্গে ঘুরতে পারেন আজকের দিনটি উদযাপন করতে।
কেএসকে/জেআইএম