আপনিও কি স্যান্ডউইচ জেনারেশনের মধ্যে আছেন?

5 hours ago 4

সানজানা রহমান যুথী

স্যান্ডউইচ শব্দটি আমাদের সবার পরিচিত, যা সাধারণত এক ধরনের ফাস্টফুড বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ‘স্যান্ডউইচ জেনারেশন’ বলতে কী বোঝানো হয়, তা অনেকের কাছেই অজানা। এটি এমন এক বিশেষ প্রজন্মের পরিচয় বহন করে, যারা নিজেদের পরিবারে মাঝখানে আটকে পড়ার অনুভূতি নিয়ে জীবনযাপন করে।

স্যান্ডউইচ জেনারেশন কী?

‘স্যান্ডউইচ জেনারেশন’ বলতে সেই মধ্যবয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের বোঝানো হয়, যারা একই সঙ্গে তাদের বয়স্ক বাবা-মা এবং নিজের সন্তানদের দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮১ সালে সমাজকর্মী ডরোথি মিলার প্রথমবারের মতো এই শব্দটি ব্যবহার করেন। একদিকে বৃদ্ধ বাবা-মা, অন্যদিকে বড় হওয়া সন্তান-এই দুই পক্ষের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো যেন একধরনের স্যান্ডউইচের মতো, যাদের ওপর প্রচণ্ড মানসিক ও শারীরিক চাপ পড়ে।

যেমন একটি স্যান্ডউইচ তার ভেতরের উপকরণগুলো একসঙ্গে ধরে রাখে, তেমনি স্যান্ডউইচ জেনারেশনও তাদের বৃদ্ধ বাবা-মা এবং বড় হওয়া সন্তানদের একসঙ্গে ধরে রাখে-দুই দিকের দায়িত্ব সামলাতে হয় তাদের।

পারিবারিক দায়িত্বের চাপে অনেক সময় তারা নিজেদের জন্য সময় বের করতে পারেন না, যার ফলে ব্যক্তিগত জীবনেও অসন্তোষ দেখা দিতে পারে। বাবা-মার চিকিৎসা ও যত্নের খরচ, সন্তানের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব-সব মিলিয়ে তাদের জন্য আর্থিক ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে।

আপনিও কি স্যান্ডউইচ জেনারেশনের মধ্যে আছেন?

ভারসাম্য আনতে যে কাজগুলো আপনাকে সাহায্য করতে পারে-

ছোট থেকেই সন্তানদের নিজেদের পড়ালেখার পাশাপাশি নিজেদের কাজ নিজে করার প্রতি উৎসাহিত করতে পারেন। এছাড়াও তাদের পরিবারের কাজে সহায়তা করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে যা তাদের ভবিষ্যৎতের জন্য ও কার্যকরী। এতে করে স্যান্ডউইচ জেনারেশন মানুষের মধ্যে কিছুটা কাজের চাপ কমবে।

পরিবারকে সময় দেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের জন্য আলাদা অবসর সময় কাটাতে পারেন। এতে করে মানসিক চাপ কমবে। নিজেদের জন্য সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে।

স্যান্ডউইচ জেনারেশন এমন এক বাস্তবতা, যা আজকের সমাজে অনেক মানুষকে প্রভাবিত করছে। তবে সঠিক পরিকল্পনা ও পারিবারিক সহযোগিতার মাধ্যমে এই চাপ কিছুটা হলেও কমানো সম্ভব। বাবা-মা ও সন্তানের দায়িত্ব পালন করা নিঃসন্দেহে ভালোবাসারই অংশ, তবে নিজের সুস্থতার প্রতিও সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

আরও পড়ুন

লেখক: শিক্ষার্থী ও ফিচার লেখক

কেএসকে/এমএস

Read Entire Article