গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। এ দরপতনের তালিকায় নেতৃত্ব দিয়েছে এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড।
বিনিয়োগকারীদের বড় অংশ ফান্ডটির ইউনিট কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় গত সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম কমার শীর্ষ স্থানটিও দখল করেছে এই মিউচুয়াল ফান্ডটি।
গত সপ্তাহের লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসে মিউচুয়াল ফান্ডটির প্রতিটি ইউনিটের দাম কমেছে ৯০ পয়সা বা ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ। এত এ চারদিনে ফান্ডটির ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে কমেছে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ফান্ডটির প্রতিটি ইউনিটের দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৯০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ৮ টাকা ৮০ পয়সা।
এমন দরপতন হওয়া ফান্ডটি লোকসানে পতিত হওয়ায় ২০২৩ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। তবে ২০২৩ সালে ৫ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ৫ শতাংশ নগদ এবং ২০২১ সালে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় মিউচুয়াল ফান্ডটি।
ফান্ডটির মোট ইউনিট সংখ্যা ৫ কোটি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ১০ শতাংশ আছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৬৩ দশমিক ৮১ শতাংশই আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৬ দশমিক ১৯ শতাংশ আছে।
এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের পর দাম কমার তালিকায় ছিল সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স। এ কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। শেয়ার দাম ৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমার মাধ্যমে দাম কমার তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংক।
এছাড়া দাম কামার তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে- ফার কেমিক্যালসের ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ, ট্রাস্ট ব্যাংকের ৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ, জনতা ইন্স্যুরেন্সের ৮ দশমিক ৪২ শতাংশ, ফারইস্ট ফিন্যান্সের ৮ দশমিক ১১ শতাংশ, সিটি ব্যাংকের ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ৭ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং ঢাকা ব্যাংকের ৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ দাম কমেছে।
এমএএস/এমএএইচ/জেআইএম