আগ্রাসন বন্ধ না হলে জলাবদ্ধতা পুরোপুরি যাবে না: মেয়র তাপস

3 months ago 28

আগ্রাসন বন্ধ না হলে নগরে জলাবদ্ধতা পুরোপুরি যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা পুরোপুরি নিরসন করতে হলে খালগুলো পুনরুদ্ধার এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে দখলমুক্ত রাখার কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (৬ জুলাই) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সে আয়োজিত (বিআইপি) এক সংলাপে এই মন্তব্য করেন তিনি। ঢাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে খাল পুনরুদ্ধারের ভূমিকা শীর্ষক এই সংলাপের আয়োজন করে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা)।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ঢাকার পানি নিষ্কাশনের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করা ভালো সিদ্ধান্ত ছিল। এতে কাজ করা সহজ হয়েছে। আর দায়িত্ব নেওয়ার সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। এতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার জলাবদ্ধতা ৭০ শতাংশ কমেছে। বাকি ত্রিশ শতাংশ দূর করতে কাজ চলছে।

শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ২০২১ সালে ডিএসসিসি এলাকায় ১৬১টি স্থান চিহ্নিত করে ১৩৬টি জায়গার জলাবদ্ধতা নিরসন করা হয়েছে। নতুন করে ৫০টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওয়াসা থেকে পাওয়া ১১টি খালের মধ্যে জিরানি, মান্ডা, শ্যামপুর এবং কালুনগর খাল গুরুত্বপূর্ণ। খালগুলো নিয়ে এরইমধ্যে একটি প্রকল্পের অনুমোদন পাওয়া গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের যে খালগুলো রয়েছে সেগুলো ডিএসসিসি বুঝে পায়নি জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পের কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খালগুলো আমরা পায়নি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খালগুলো পেলে সব খাল, জলাশয় নিয়ে আমরা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করবো।

আরও পড়ুন

সংলাপে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ঢাকা একটা শহর যেখানে ১৪টি সংস্থা কাজ করে। প্রতিটি সংস্থা নিজেকে স্বাধীন বলে দাবি করে, তাদের কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হয়না। আজ সিটি করপোরেশন রাস্তা করে দিলে কাল আবার ওয়াসা রাস্তা কেটে রাখে। এ অবস্থায় নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করে কি লাভ হবে। এ জন্য টেকসই উন্নয়নের বিকল্প নেই।

সংলাপে ডুরার সভাপতি ওবায়দুর মাসুমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মোল্লার সঞ্চালনায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি ড. আদিল মুহাম্মদ খান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

এমএমএ/এসআইটি/এমএস

Read Entire Article