প্রায় ১২ দিনের লম্বা সফর শেষে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।
এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি দুবার লন্ডন গিয়েছিলেন। তবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এবারই প্রথম সরাসরি লন্ডনে যান মির্জা ফখরুল। মূলত বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার আগ্রহে দলীয় এবং রাজনৈতিক কাজে লন্ডন সফর করলেন তিনি। লন্ডনে পৌঁছালে যুক্তরাজ্য বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীর ভালোবাসায় সিক্ত হন বিএনপি মহাসচিব।
সফরকালে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক করার পাশাপাশি যুক্তরাজ্য বিএনপির আলোচনা সভা, মিট দ্য প্রেসসহ একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন মির্জা ফখরুল। পাশাপাশি বিএনপি মহাসচিবের স্ত্রীর চিকিৎসাও করা হয়েছে।
গত ১ ডিসেম্বর লন্ডন সফরে যান মির্জা ফখরুল। যাওয়ার আগে ঢাকায় মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে আমি লন্ডন যাচ্ছি। আপনারা জানেন, আমার স্ত্রী অসুস্থ। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে লন্ডনে ডাক্তার দেখাব।’
জানা যায়, মির্জা ফখরুল লন্ডনে পৌঁছানোর পর ৩ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত রয়েল রিজেন্সিতে এক আলোচনা সভায় অংশ নেন। এরপর তিনি যুক্তরাজ্যের সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানেও বক্তব্য দেন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন মির্জা ফখরুল। লন্ডনের সারে এলাকার গিলফোর্ড হারবার হোটেলে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মূলত এসব বৈঠকে দেশের চলমান কঠিন পরিস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি, শরিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুনিবিড়, ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় এবং দলীয় বিভিন্ন কঠিন ও জটিল কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার বিষয়ে তারেক রহমান গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা ইস্যু, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা, সব দলের মতামতের ভিত্তিতে প্রণীত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখাকে অধিকতর প্রচারণা ও কার্যকর করা এবং চলমান পরিস্থিতিতে বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে আরও গতিশীল করার লক্ষ্য নির্ধারণ নিয়ে তারেক অধিকতর নির্দেশনা দিয়েছেন।