মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস করে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া আপিল বিভাগের রায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে রায়ের অনুলিপি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে পৌঁছায়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন প্রসিকিউটর এমএইচ তামীম।
রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে আজহারুল ইসলামের মুক্তি বিষয়ে আদেশ জারি করে সেটি প্রক্রিয়াজাত করেন। পরে মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পাওয়া জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির বিষয়ে জারি করা আদেশ সংশ্লিষ্ট কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে এই নির্দেশনা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কারাগারে পাঠানো হয়। জানা গেছে জামায়াতের কারাবন্দি ওই নেতা বর্তমানে কেরানীগঞ্জ কারাগারের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন।
তার আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানিয়েছেন, আগামীকাল বুধবার (২৮ মে) মুক্তি পাবেন এটিএম আজহারুল ইসলাম। মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে এমন তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম বুধবার (২৮ মে) সকালে (৯টা-১০ টা) মুক্তি পাবেন।
এর আগে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল মঞ্জুর করে খালাসের রায় দেন। রায়ে সর্বোচ্চ আদালত ২০১৪ সালে এ টি এম আজহারুলের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় ও মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া আগের রায় বাতিল ঘোষণা করেছেন। এছাড়া অন্য কোনো মামলা না থাকলে আজহারুলকে অবিলম্বে মুক্তি দিতেও বলা হয়েছে। এর পর তিন পৃষ্ঠার রায় প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশের পর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পাওয়া এ টি এম আজহারুল ইসলামের আদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম। এর আগে খালাসের সর্ট রায়ে সই করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাত বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ ছাড়াও সই করা অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস.এম মদাদুল হক, বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
এদিন সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে এটিএম আজহারকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দেন আপিল বিভাগ। সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের সর্বসম্মতিক্রমে এ রায় ঘোষণা করা হয়। এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পেয়েছেন।
এফএইচ/এমআইএইচএস/এএসএম