১৫ আগস্টে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ফুল হাতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হওয়া রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে কীসের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজিজুরের গ্রেফতারের বিষয়ে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে সরকার।
একই সঙ্গে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে ঢাকা মহানগর পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত ২ এপ্রিলের দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় আজিজুরের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তদন্ত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সম্প্রতি সংশোধিত সিআরপিসির ১৭৩(এ) ধারা মোতাবেক অতিসত্বর প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- আরও পড়ুন
- ৩২ নম্বরে ফুল দিতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার সেই রিকশাচালকের জামিন
- হাসিনাকে ফেরাতে আসিনি, বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি
রোববার (১৭ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতির বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গত ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হন রিকশাচালক আজিজুর রহমান। তাকে সেখান থেকে আটক করে পুলিশ।
এক বছর আগের একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল শনিবার আজিজুরকে আদালতে তোলা হয়। ওই মামলায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন ধানমন্ডি থানার এসআই মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান। পরে আবেদন মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত।
গত ২ এপ্রিল ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টার ওই মামলাটি করেন ভুক্তভোগী আরিফুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট ধানমন্ডি থানাধীন নিউমার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব এলাকায় মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী আরিফুল ইসলাম। ঘটনার দিন দুপুর আড়াইটায় আসামিরা গুলি, পেট্রোল বোমা ও হাতবোমা নিক্ষেপ করে। ভুক্তভোগী পিঠে গুলিবিদ্ধ হলে পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দুই মাস চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হন।
এদিকে, রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, ধানমন্ডি ৩২ থেকে আটক রিকশাচালককে হত্যা মামলার আসামি করা হয়নি। ধানমন্ডি থানার এপ্রিল মাসে হওয়া একটি মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে ১৬ আগস্ট তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এমইউ/এমকেআর/জিকেএস