আজিমপুরে অপহৃত সেই শিশুকে নিয়ে র‌্যাবের চাঞ্চল্যকর তথ্য

6 days ago 10

মুক্তিপণের উদ্যেশ্যে রাজধানীর আজিমপুরে বাসা থেকে ডাকাতি সময় আটমাসের শিশুকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস। 

এ ঘটনায় শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) মধ্যেরাতে মোহাম্মদপুর নবীনগর হাউজিং এলাকা থেকে আটমাস বয়সী শিশু আরিসা জান্নাত জাইফাকে উদ্ধার করা হয়। এসময় মূল অপহরণকারী ফাতেমা আক্তার শাপলাকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে শিশু জাইফাকে উদ্ধারের সময় মূল অপহরণকারী ফাতেমা আক্তার শাপলাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

তার দেওয়া তথ্যমতে, মুক্তিপণের উদ্যাশে আটমাস বয়সী শিশু জাইফাকে অপহরণ করা হয়েছিল। আজিমপুরে বাসায় ডাকাতি ও শিশু অপহরণের ঘটনায় শাপলার সঙ্গে সুমন, রায়হান ও হাসান নামে আরও তিন সহযোগী ছিলেন। তাদের টার্গেট ছিল শিশু জাইফার বিনিময়ে তার মার কাছ থেকে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করা হবে। তবে ঘটনার পর গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করার তারা আত্মগোপনে থাকেন। 

র‌্যাব জানায়, শিশুটির মা ফারজানা আক্তার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টেনোগ্রাফার হিসেবে কর্মরত। তার বাবা আনোয়ার খান মডান হাসপাতালে ল্যাব সহকারী হিসাবে চাকরি করছেন। প্রাতরক শাপলা প্রায় দুই সপ্তাহ আগে শিশুটির মা ফারজানাকে টার্গেট করে। তিনি বাসে অফিসে যাতায়াতকালে অপহরণকারী শাপলা নানা কৌশলে শিশুর মায়ের সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে শাপলার অসহায়ত্ব কথা বলে শিশুর মায়ের সঙ্গে সাবলেটে একই বাড়ি থাকার পরিকল্পনাও করেন। এক সপ্তাহ আগে ফারজানার বাসায় এসেছিলেন শাপলা। পরে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে আজিমপুরে ফারজানার বাড়িতে একটি রুম সাবলেটে ভাড়া উঠেন অপহরনকারী ফাতেমা আক্তার শাপলা। ওইদিন রাতে কৌশলে ভুক্তভোগীকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। পরদিন (শুক্রবার) সকালে শাপলার আরও তিনজন সহযোগী ওই বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়িতে থাকা নগদ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, প্রায় সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করা হয়। এরপর শিশু মেয়ে আরিশা জান্নাতকে অপহরন নিয়ে নবীনগর হাউজিং এলাকায় চলে যায়।

এক প্রশ্নের উত্তরে লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, শিশু অপহরণের ঘটনায় তার বাবা আবু জাফরকে নজরদারিতে রেখেছে র‌্যাব। শিশু বাবা-মার মধ্যে সাংসারিক ভাবে মনমালিন্য ছিল। তাই তারা আলাদা থাকতো। তবে শিশুর বাবার আজিমপুরে বাসায় নিয়মিত আসা যাওয়া ছিল। দিনে শিশুর সঙ্গে থেকে রাতে তিনি অন্যত্রে চলে যেতেন। এ ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ত আছে কিনা তা পুলিশ ক্ষতিয়ে দেখছে। 

র‌্যাব জানায়, অপহরনকারী শাপলার গ্রামের বাড়ি বগুড়া। তিনি ২০১৪ সাল পর্যন্ত লালমাটিয়া মহিলা কলেজে পড়াশোনা করলেও তা শেষ করেননি। 
মা-বোনের সঙ্গে থাকতেন আদাবর নবীনগর হাউজিংয়ে।

Read Entire Article