আঞ্চলিক সহযোগিতায় ভারত-বাংলাদেশ প্রধান চালিকাশক্তি হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
তিনি বলেন, ভৌগোলিক নৈকট্য, অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশাকে কাজে লাগিয়ে দুই দেশ পারস্পরিকভাবে লাভজনক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে (এনডিসি) এ বছরের কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন প্রণয় ভার্মা। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এসময় ভারতের পররাষ্ট্রনীতি, উন্নয়ন কৌশল এবং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের দীর্ঘমেয়াদি ভিশন তুলে ধরেন প্রণয় ভার্মা।
- আরও পড়ুন
- বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-নেপালের আন্দোলন ভারতের জন্য সতর্কবার্তা, কী করবে মোদী সরকার
- দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩৭ প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি
ভারতের হাইকমিশনার বলেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার, বৈশ্বিক শাসন কাঠামোর সংস্কার, গ্লোবাল সাউথের স্বার্থ রক্ষা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ভারতের বিশ্বব্যাপী সম্পৃক্ততা বাড়ছে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভিশন
ভারতের পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকারের মধ্যে বাংলাদেশ বিশেষ গুরুত্ব পায় জানিয়ে প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘প্রতিবেশী প্রথম নীতি’, ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’, ‘মহাসাগর নীতি’ এবং ভারতের ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশনের মধ্যদিয়ে এ সম্পর্কের দীর্ঘমেয়াদি দিকনির্দেশনা প্রতিফলিত হয়।
বিমসটেক কাঠামোতে সহযোগিতা
প্রণয় ভার্মা বলেন, এই অঞ্চলের দুই গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতি হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশ বিমসটেক কাঠামোর আওতায় আঞ্চলিক একীভূতকরণের মূল চালিকাশক্তি। ঢাকায় যার সদরদপ্তর অবস্থিত এবং যা দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবৃদ্ধিকে একত্রিত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।
স্থায়ী ও ইতিবাচক সম্পর্কের অঙ্গীকার
হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা জানান, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও স্থিতিশীল, ইতিবাচক ও পারস্পরিকভাবে উপকারী করতে বদ্ধপরিকর তারা। তিনি বলেন, এই অংশীদারত্বে দুই দেশের জনগণই হবে প্রধান অংশীদার।
জেপিআই/ইএ/এএসএম