আতিক-নজরুলসহ ৪ জন ফের রিমান্ডে

2 hours ago 5

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামসহ ৪ জনকে ফের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। 

এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর ভাটারা থানাধীন সোহাগ মিয়া হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র আতিককে চার দিন, মিরপুর এলাকায় আসিফ হত্যা মামলায় এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে ৩ দিন, যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় সাবেক এডিসি শাহেন শাহর ৩ দিন এবং তেজগাঁওয়ে এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিদ মুবিন রাতুলকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা উত্তর যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা আক্তারকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগে তাদের বিভিন্ন থানার মামলায় কয়েক দফায় রিমান্ডে নেয়া হয়।

এদিন  ৪ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে আতিকের ৫ দিন, নজরুল ইসলাম মজুমদারের ৫ দিন, শাহেন শাহর ১০ দিন এবং শামীমা আক্তারের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। 

আতিকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানাধীন মাদানী অ্যাভিনিউ ১০০ ফিট রোডস্থ ফরাজী হাসপাতালের সামনে আন্দোলনে অংশ নেন কিশোর মো. সোহাগ মিয়া (১৬)। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিদের ছোড়া গুলি তার বাঁ কান দিয়ে ঢুকে মাথায় পেছনে দিয়ে বেরিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৯১ জনকে আসামি করে গত ২০ আগস্ট ভাটারা থানায় হত্যা মামলা হয়।  

নজরুল ইসলাম মজুমদারের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুর থানাধীন রাব্বানী হোটেলের সামনে গত ১৯ জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন আসিফ। সন্ধ্যা সাড়ে সাত টায় আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হলে সহযোদ্ধারা তাকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করান। উন্নত চিকিৎসার জন্য নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় গত ১ নভেম্বর মিরপুর থানায় ২২ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়।

শাহেন শাহের মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকা হয়। মহাসমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়। শাহেন শাহ এ মামলার ৪৯ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

শামীমা আক্তারের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গত ১৬ জুলাই গুলিবিদ্ধ হন তাহমিদ মুবিন রাতুল। পরে তার বাড়িতে গিয়েও হামলা ভাঙচুর করা হয়। বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এতে রাতুলের বাবা-মা আহত হন। পরে এ ঘটনায় হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়।

Read Entire Article