চিকিৎসকদের বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত নীতিমালা বাতিল করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ইত্যাদি কাজে চিকিৎসকদের বিদেশ ভ্রমণ বিষয়ে এ নীতিমালা জারি করা হয় রোববার।
আদেশ জারির পরদিন সোমবার (২৫ নভেম্বর) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রশাসন -১ শাখার যুগ্মসচিব মোহাম্মদ আবদুল হাইয়ের সই করা অফিস আদেশে প্রত্যাহারের বিষয় জানানো হয়।
এতে বলা হয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীন দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত চিকিৎসকদের বৈদেশিক সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের নীতিমালা সংক্রান্ত জারি করা অফিস আদেশ নির্দেশক্রমে বাতিল করা হলো।
এর আগে রোববার জারি করা ভ্রমণ নীতিমালায় বলা হয়-
১. কোনো প্রার্থী বছরে (সর্বশেষ ১২ মাস) সর্বোচ্চ দুই বার বৈদেশিক সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ইত্যাদিতে যেতে পারবেন।
২. প্রার্থী যে বিষয়ে অভিজ্ঞ বা যে বিষয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত (দায়িত্ব পালনরত) কেবল সেই বিষয়ে আমন্ত্রিত হতে পারবেন।
- আরও পড়ুন
অটোমেশনে খুশি শিক্ষার্থীরা, বাতিল চায় কলেজ কর্তৃপক্ষ
সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
৩. প্রার্থী যে বিষয়ে অধ্যয়নরত সে বিষয়ে আমন্ত্রিত হয়ে গমন করতে পারবেন।
৪. আমন্ত্রণকারী সংস্থার নিজস্ব ডোমেইনভুক্ত ওয়েবমেইল থেকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওয়েবমেইলে ([email protected], cc: [email protected]) আমন্ত্রণপত্রের অনুলিপি/কপি পাঠাতে হবে।
৫. আমন্ত্রণকারী সংস্থা যাবতীয় খরচ (ভিসা ফি, উভয় পথের বিমানভাড়া, আবাসন ব্যবস্থা/খরচ ইত্যাদি) বহন করবেন মর্মে আমন্ত্রণকারী সংস্থা থেকে প্রত্যয়নপত্র প্রমাণক হিসেবে দাখিল করতে হবে।
৬. বৈদেশিক সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ইত্যাদিতে গমনপূর্বক ফেরত আসার পর একটি প্রতিবেদন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে (প্রশাসন-১) দাখিল করতে হবে।
৭. তৃতীয় পক্ষ খরচ বহন করবে- এমন যে কোনো আবেদন সরাসরি বিবেচনার বাইরে থাকবে।
৮. বৈদেশিক সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের প্রমাণ হিসেবে প্রোগ্রামে যোগদানের ও সমাপ্তি দিনের ছবি দাখিল করতে হবে।
৯. যথাযথ মাধ্যমে গ্রহণ করা আবেদনে প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর প্রধান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশ থাকতে হবে।
এএএম/কেএসআর