বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, কোনো কোনো দল ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতা এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতির নামে রাজনৈতিক ইসলাম নিয়ে রাজনীতি করছে। বিএনপি সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রেখে ধর্মীয় মূল্যবোধ, স্বাধীনতা এবং সংস্কৃতি বজায় রাখতে চায়।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক ইসলাম নয়, মহানবী (সা.) যে ইসলাম অনুসরণ করতে বলেছিলেন, মুসলমান সম্প্রদায় সেই ইসলাম অনুসরণ করুক, বিএনপি সেটা চায়।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ধারা মিয়াবাড়ি প্রাঙ্গণে গ্রামবাসী আয়োজিত ইসলামি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এমরান সালেহ প্রিন্স।
প্রিন্স বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামের নামে রাজনীতির ভেদাভেদ, অশান্তি, অনৈক্য, যুদ্ধ-বিগ্রহ কাম্য নয়। পৃথিবীতে এক শ্রেণির মানুষ ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আরেক শ্রেণির মুসলমান ইসলাম সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়ছে। বিএনপি ইসলামি মূল্যবোধ, ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে রক্ষা ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে দেবে।
আওয়ামী লীগ নিজেদের রক্ষা করতে কখনো ইসলাম, কখনো ইসলামবিরোধী রাজনীতি করেছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের ইসলামবিরোধী রাজনীতির কারণে ধর্মপ্রাণ মুসলমান বিক্ষুব্ধ হলে তাদের প্রশমিত করতে মদিনা সনদ বাস্তবায়নের কথা বলেছে। তারা এমনই মদিনা সনদ বাস্তবায়ন করতে গেছে, যেখানে ইসলামের আচার-আয়োজন করতে গিয়ে আলেম-ওলামা-মাশায়েখদের জেল-জুলুম, নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। জঙ্গিবাদের তকমা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকলে সঙ্গী, না থাকলে জঙ্গি হিসেবে প্রচার করা হতো।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আল্লাহ বাড়াবাড়ি পছন্দ করেন না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতার নেশায় হত্যা, গুম করে নরকের দেশে পরিণত করেছিল।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আলাপচারিতার কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ক্ষমতার দম্ভে হাসিনা একসময় ড. ইউনূস ও খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে নদীতে ফেলে মারতে চেয়েছিল। আল্লাহর বিচার ড. ইউনূস এবং বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে আলাপচারিতায় আর হাসিনা গণহত্যা করে নিকৃষ্ট ফ্যাসিস্ট পরিচয় ধারণ করে প্রভুর দেশে পলাতক। আল্লাহ যাকে সম্মান দেন, কেউ তা কেড়ে নিতে পারে না।’
মঞ্জুরুল ইসলাম/এসআর/এএসএম